সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শবে কদরের সন্ধানে...

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।যাকওয়ানুল হক চৌধুরী।।

যে রাতে পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর। পবিত্র কোরান শরীফের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শবেকদরের অন্বেষনে রমাযানের প্রথম দশকে ই'তিকাফ করলেন। অতঃপর মাঝের দশকে ই'তিকাফ করে ২০শের ফজরে বল্লেন,"আমাকে শবেকদর দেখানো হয়েছিল; কিন্তু পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব শেষ দশকের বিজোড় রাতে তা অনুসন্ধান কর। আর আমি দেখেছি যে, আমি পানি ও কাদাতে সিজদা করছি"(বুখারী ২০১৬, মুসলিম ১১৬৭) অতঃপর ২১শের রাত্রি তে বৃষ্টি হয়েছিল। অতএব সে বছর ওই ২১শের রাতেই শবে কদর হয়েছিল।

তাই এই হাদিস অনুসারে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদরের সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এই ৫ রাত হল শবে কদর হওয়ার অধিক আশাব্যঞ্জক রাত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে জোড় রাত গুলোতে শবে কদর হবে না। বরং শেষ দশকের যেকোন রাতেই শবে কদর হতে পারে। আবার শেষ দশকের মধ্যে শেষ সাত রাত্রি বেশি সম্ভাবনাময়।

মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,"আমি দেখছি যে তোমাদের সবারই শেষ সাত রাতের ব্যপারে একমত হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি শবে কদর অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন শেষ রাতগুলিতে করে" ( বুখারী ২০১৫, মুসলিম ১১৬৫, মুসনাদে আহমাদ, মুয়াত্তা মালেক)

আবার শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে ২৭ রাত্রি অধিক আশব্যঞ্জক। কেননা উবাই বিন কা'ব(রা) 'ঈনশাআল্লাহ' না বলেই কসম খেয়ে বলতেন, " শবে কদর রাত্রি হল ২৭শের রাত্রি; ঐ রাত্রিতে কিয়াম করতে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের আদেশ দিয়েছেন"( মুসলিম ৭৬২)

মুআবিয়া(রা) মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ননা করে বলেন,"২৭শের রাত্রি হল শবে কদরের রাত্রি" (সহীহ আবু দাউদ ১২৩৬)

কিন্তু ২৭ রাতই জরুরি নয় কেননা অন্যান্য হাদীস দ্বারা বুঝ পবিত্র কোরাআন শরীফের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব আল্লাহ এ রাতকে সকল রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শবেকদরের অন্বেষনে রমাযানের প্রথম দশকে ই'তিকাফ করলেন।অতঃপর মাঝের দশকে ই'তিকাফ করে ২০শের ফজরে বল্লেন,"আমাকে শবেকদর দেখানো হয়েছিল;কিন্তু পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।অতএব শেষ দশকের বিজোড় রাতে তা অনুসন্ধান কর।আর আমি দেখেছি যে, আমি পানি ও কাদা তে সিজদা করছি"(বুখারী ২০১৬, মুসলিম ১১৬৭) অতঃপর ২১শের রাত্রি তে বৃষ্টি হয়েছিল। অতএব সে বছর ঐ ২১শের রাতেই শবে কদর হয়েছিল।

তাই এই হাদিস অনুসারে শেষ দশকের বিজোড় রাত গুলোতে শবে কদরের সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এই ৫ রাত হল শবে কদর হওয়ার অধিক আশাব্যঞ্জক রাত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে জোড় রাত গুলোতে শবে কদর হবে না। বরং শেষ দশকের যেকোন রাতেই শবে কদর হতে পারে। আবার শেষ দশকের মধ্যে শেষ সাত রাত্রি বেশি সম্ভাবনাময়।

মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,"আমি দেখছি যে তোমাদের সবারই শেষ সাত রাতের ব্যপারে একমত হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি শবে কদর অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন শেষ রাত গুলিতে করে" ( বুখারী ২০১৫, মুসলিম ১১৬৫, মুস্নাদে আহমাদ, মুয়াত্তা মালেক)

আবার শেষ দশকের বিজোড় রাত গুলোর মধ্যে ২৭ রাত্রি অধিক আশব্যঞ্জক। কেননা উবাই বিন কা'ব(রা) 'ইনশাআল্লাহ' না বলেই কসম খেয়ে বলতেন, " শবে কদর রাত্রি হল ২৭শের রাত্রি; ঐ রাত্রিতে কিয়াম করতে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের আদেশ দিয়েছেন"( মুসলিম ৭৬২)
মুআবিয়া(রা) মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ননা করে বলেন,"২৭শের রাত্রি হল শবে কদরের রাত্রি" (সহীহ আবু দাউদ ১২৩৬)

কিন্তু ২৭ রাতই জরুরী নয় কেননা অন্যান্য হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে শবে কদর অন্য তারীখেও হয়ে থাকে।

সুতরাং বুঝা গেল যে, শবে কদর প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটি মাত্রই রাত নয়। ২৯,২৫,২৪, রাতেও হতে পারে। শবে কদর একটি নির্দিষ্ট রাত না হয়ে এক এক বছর এক এক রাত হওয়ার কারণ হচ্ছে যাতে অলস বান্দা কেবল একটি রাত জাগরন ও কিয়াম করেই যেন ক্ষ্যান্ত না হয়ে যায় এবং সেই রাতের ফযীলতের উপর নির্ভর করে অন্য রাতের ইবাদাত ত্যগ করে না বসে।তাই বান্দার উচিত শেষ দশকের কোন রাতকেই যেন কম গুরুত্ব না দেয় এবং পুরোটাই ইবাদাতের মাধ্যমে শবে কদর অন্বেষন করে। এতে তারই লাভ রয়েছে।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন ," আমি শবে কদরের সম্বন্ধে তোমাদেরকে খবর দেওয়ার জন্য বের হয়ে এলাম। কিন্তু অমুক ও অমুকের কলহ করার ফলে শবে কদরের সে খবর তুলে নেওয়া হল। এতে সম্ভবত তোমাদের জন্য মঙ্গল আছে। সুতরাং তোমরা শেষ ৫ম, ৭ম, ৯ম রাতে তা অনুসন্ধান কর।(বুখারী ২০২৩)

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ