আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রমজান মাসে মসজিদুল হারামকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেকদিন ৭০ হাজারের বেশি জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। রমজানে তাওয়াফ, ওমরা ও নামাজ আদায়কারীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হারামাইনের পরিচালনা পরিষদ এর পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মহামারীর এই সময়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ বাইতুল্লাহ এবং মাতাফ প্রাঙ্গণকে ঘিরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীদের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে শুরু থেকেই।
ওমরা ও তাওয়াফকারীদের জন্য আলাদা আলাদা রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এছাড়াও স্যানিটাইজার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
বাইতুল্লাহর আশপাশকে জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন ১৫’শ লিটার স্যানিটাইজার ও সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি মসজিদুল হারাম ও মাতাফ প্রাঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেকদিন দশবার স্যানিটাইজার ও সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছে।
মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ২৪ ঘন্টা ৭৫০ জন গাইড ও ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এ রমজানে কঠোর স্বাস্থ্য নির্দেশনাসহ মসজিদুল হারামে উমরাহ পালনকারীদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর রমজানে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ ওমরা পালন করেছেন। এছাড়া রমজানের প্রথম ২০ দিনে ওমরা, তাওয়াফ ও নামায আদায়ের জন্য ৩০ লাখের বেশি মানুষ মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেছেন।
এ বছর রমজান উপলক্ষে মসজিদে হারামে প্রবেশের অন্যতম শর্ত হলো- করোনা নেগেটিভের সনদ থাকতে হবে এবং একই সঙ্গে প্রবেশের আগে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে। এছাড়া ভেতরে ইফতার আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবার। প্রত্যেকে তাদের নিজ উদ্যোগে ইফতার গ্রহণ করতে হবে।
আরও কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে- তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়তে হবে। এছাড়া গত বছরের ন্যায় এবারও স্থগিত থাকবে ইতিকাফ। ওমরাহর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- মাতাফে ওমরাহ করা যাবে, স্পর্শ করা যাবে না কাবা ঘর। হাজরে আসওয়াদও চুম্বন করা যাবে না। ওমরাহ শেষে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে প্রথম তলায়।
আরব নিউজ অবলম্বনে জুলফিকার জাহিদ।
এনটি