আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৩ মার্চের নির্বাচনের পর মঙ্গলবার মধ্যরাতের সময়সীমার মধ্যে সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন দেশটির প্রেসিডেন্টের হাতে আর তিন দিন আছে, এই সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিতে হবে।
ডয়চে ভেলে জানায়, প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা না থাকায় প্রেসিডেন্টের অফিসকে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিলেন, তিনি সরকার গঠন করতে পারবেন না। এবার প্রেসিডেন্ট অন্য দলকে সুযোগ দেবেন। তারা যদি পারে, তাহলে ১২ বছর পর বিরোধী আসনে বসবেন নেতানিয়াহু এবং তার দলের নির্বাচিত সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট রিভলিন এবার ইয়াইর ল্যাপিদকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তিনি এখন জোট সরকার গঠন করার চেষ্টা করবেন। তিনি সাবেক টিভি উপস্থাপক ও নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধী।
এ ছাড়া নেতানিয়াহুর সাবেক জোটসঙ্গী বেনেট আছেন, তিনি দক্ষিণপন্থী দলের নেতা। তাকেও প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের জন্য ডাকতে পারেন।
ইসরায়েলে গত দুই বছরে চারবার ভোট হয়েছে। নেতারা জোট গঠন করতে হিমশিম খেয়েছেন। শেষ নির্বাচন হয়েছে গত মার্চে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে দুই বছরে পাঁচবার ভোট হবে ইসরায়েলে।
২০০৯ সাল থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ৭০ বছর বয়সী এই নেতা ইসরায়েলে সব চেয়ে বেশি দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্তও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ইরান ও ফিলিস্তিন নিয়ে তার নীতি ছিল খুবই কড়া। তিনি বারবার বলেছেন, ইরান পরমাণু বোমা বানাতে চাইছে এবং ইসরায়েল তা হতে দেবে না। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রেরও বিরোধী।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের বিচার চলছে। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগই তাকে বেকায়দায় ফেলেছে।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে সংসদের ১২০টি আসনের মধ্যে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ৩০টি আসনে জয়ী হয়, তবে তিনি ৬১টি আসন নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে তাকে ইসলামপন্থী ইউনাইটেড আরব লিস্ট (ইউএএল) এবং চরম ডানপন্থী জিওনিস্ট পার্টির সমর্থন দরকার ছিল। কিন্তু জিওনিস্ট পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, তারা কিছুতেই ইউএএলের সঙ্গে হাত মেলাবে না। ফলে নেতানিয়াহুর পক্ষেও জোট গঠন করা সম্ভব হয়নি।
এনটি