আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সোমবার দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় লাগা আগুন এখনও নেভেনি। আগুনের কাছাকাছি পানির কোনো উৎস না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও বনকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনে গহীনে লাগা আগুন নেভাতে আবারও কাজ শুরু হয়েছে। অন্ধকারে বনের গহীনে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
এর আগে সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট সেখানে পৌঁছে যায়। পরে মোড়েলগঞ্জ ও বাগেরহাটের ২টি ইউনিট সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যুক্ত হয়। পাশাপাশি বনকর্মীদের সাথে এলাকার মানুষও আগুন নেভাতে যোগ দেন। তারা ফায়ার লাইন কাটাসহ দূরের উৎস থেকে পানি সরবরাহের কাজে সহযোগিতা করেন।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক গোলাম সরোয়ার জানান, সুন্দরবনের দাসের ভারানী এলাকায় যে গহীন বনে আগুন লেগেছে তার কাছাকাছি পানির কোনো উৎস না থাকায় ৪-৫ কিলোমিটার দূরে পাইপ খাটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে বেশ কিছু এলাকায় আগুন ও ধোয়ার কুন্ডলি রয়েছে।
আগুনের ব্যাপ্তি যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীরা একযোগে কাজ করছে। গহীন বনে ও মাটির স্তরে লতা জাতীয় গুল্ম উদ্ভিদে লাগা আগুন নেভাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সোমবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বনে লাগা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সোমবার দুপুরে সুন্দরবনের দাসের ভারানী এলাকার গহীন বনে আগুন লাগে। তবে বনের গহীনে কীভাবে আগুন লেগেছে তার কারণ জানতে বনবিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে।
এনটি