আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজউল করীম বলেছেন, দেশের দ্বীনি মাদরাসাগুলো চরমভাবে বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাড়িয়েছে। সারাদেশের কওমী মাদরাসাগুলো মানুষের মধ্যে ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা বিস্তারে দীর্ঘকাল যাবৎ প্রসংশনীয় ভুমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে দেশের হাজার হাজার কওমী মাদরাসা সরকারের কোন রকম সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতায় ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও মানুষের নৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রেখে আসছে।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মাদরাসা পরিচালনার সিংহভাগ ব্যয় নির্বাহ হয় স্বচ্ছল ও বিত্তবান মানুষের যাকাতের অর্থে। স্বাভাবিকভাবেই অধিক সওয়াবের আশায় মানুষ রমজান মাসে তা পরিশোধ করে থাকেন। গত বছর রমজান মাসে লকডাউনের কারণে দেশের সবগুলো মাদরাসা বন্ধ ছিল। যে কারণে মাদরাসাগুলো আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারও একদিকে লকডাউন অপরদিকে সরকারি প্রশাসনের নানামুখি হয়রানীর কারণে মাদরাসাগুলো চরমভাবে বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারি প্রশাসনের নানামুখি হয়রানি বন্ধ না হলে দেশের হাজার হাজার কওমী মাদরাসার চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে। যার ফলে লাখ লাখ আলেম যেমন বেকার হয়ে পড়বে, তেমনি দেশের ছাত্র- ছাত্রীদের বিশাল একটি অংশ ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে। মানুষের নৈতিক শিক্ষার বিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি সরকারের ভিতরে একটি ইসলামবিদ্বেষী অংশ চাচ্ছে দেশে সঠিক ইসলাম চর্চার বন্ধ হয়ে যাক। এটা দেশ, ইসলাম জনগণ ও দ্বীনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সরকারকে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি আন্তরিক হয়ে এ সুশিক্ষার বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত বন্ধের আহবান জানান।
এদিকে আজ বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভা পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে আজ বিকেলে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন যুগ্ম মহাসচি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারি মহাসচিব ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহকারি প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা দেরাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ। চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
-এটি