সাঈদ আহমাদ খান নদভী।।
আজ বিশ রমজান জোহরের পর জামিয়া সাইয়্যিদ আহমাদ শহীদে অনুষ্ঠিত দরসে তাফসীরুল কুরআন- এ হজরত মাওলানা সালমান হুসাইনি নদভি তাঁর সহকর্মী হজরত মাওলানা নুরে আলম খলিল আমিনির ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেন৷ মাওলানা খলিল আমিনি সম্পর্কে বলেন,
মাওলানা নুরে আলম খলিল আমিনি বয়সে আমার দু'বছর বড় ছিলেন৷ নদওয়াতে আমরা এক সাথে কাজ করেছি৷ নদওয়ায় আমরা হজরত মুফাক্কিরে ইসলাম রহ. এবং হজরত মুহাম্মাদ আল হাসানি রহ.'র কাছে আসা- যাওয়া করতাম৷ তাদের থেকে ইস্তেফাদা নিতাম৷ এ হিসেবে আমাদের নিসবত একই৷
হজরত মাওলানা খলিল আমিনি দারুল উলুম দেওবন্দে পড়লেও মাদ্রাসায় আমিনিয়ার নিসবত তাঁর প্রতি গালেব হয়ে যায়৷ তাই নামের শেষে আমিনি যুক্ত করতে থাকেন৷
আমি হজরত মুফাক্কিরে ইসলাম রহ. ও হজরত মুহাম্মাদ আল হাসানি রহ.'র পরে যার লেখা পড়তে সবচে' বেশি আগ্রহি ছিলাম, তিনি হলেন হজরত মাওলানা নুরে আলম খলিল আমিনি৷ তার সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক আদ দাঈ আমার কাছে নিয়মিত পৌঁছতো৷ আমি তাঁর লেখা অত্যন্ত আগ্রহ ভরে পড়তাম৷
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হিন্দুস্তানের অনেক উলামাদের হজ করানো হয়৷ ঘটনাক্রমে এক বছর হজরত মাওলানা ও আমি এক সাথেই দাওয়াত পাই৷ এবং এক সাথে হজ করার সুযোগ হয়৷
হজরত মাওলানা অত্যন্ত চমৎকার ও সহজ উসলুবে আরবি লিখে যেতেন৷ পাঠকের সুবিধার্থে তিনি বিভিন্ন কঠিন শব্দের ইরাবও লাগিয়ে দিতেন৷ এ উসলুব আমি আমার উস্তাদ হজরত শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দা রহ.'র কাছে পেয়েছিলাম৷ কিন্তু হজরত মাওলানা খলিল আমিনি এ উসলুব আরো বেগবান করে তুলেছেন৷
দারুল উলুম দেওবন্দে তিনি হজরত ওহীদুজ জামান কিরানভী রহ.র সোহবত প্রাপ্ত হন৷ এরপর নদওয়াতুল উলামায় এসে হজরত মুফাক্কিরে ইসলাম রহ. ও হজরত মুহাম্মাদ আল হাসানি রহ.'র সোহবতে ধন্য হন৷ এভাবে দু'প্রতিষ্ঠানের আদবি, ইলমি রঙ তাঁর মাঝে এসে জমা হয়৷ তাঁর উসলুব দেখে আমার কাছে মনে হতো, তিনি যেনো এ যুগের জাহিয!
আল্লাহর শোকর যে, নিজ হাতে তিনি কিছু ছাত্র গড়ে গেছেন৷ যারা তার এ উসলুবকে আঁকড়ে ধরে সাহিত্যের এ রঙে রঙীন করে তুলবে জ্ঞানের বাগানকে! কবরে আল্লাহ তাঁর দরোজা বুলন্দ করুন! আমীন!
-এটি