আওয়ার ইসলাম: হেফাজত ইসলামের কর্মীদের ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী’ ও একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি রাজাকার-আলবদরদের দোসর উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হককে শাল্লার ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
শুক্রবার হেফাজতের ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, হেফাজতের ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম বাপ্পীসহ প্রমুখ।
মো. আল মামুন তার বক্তব্যে বলেন, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজত কর্মীরা’ নগ্নভাবে হামলা করেছে। মামুনুল হক ও বাবুনগরীর নির্দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে তার বক্তব্যে দাবি করে সে।
একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই মূলত এই হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে অবিলম্বে বাবুনগরী-মামুনুলসহ ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আল মামুন আরও বলেন, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত করার জন্যই মূলত এই হামলা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার ওপর আরও বেশি অত্যাচার করেছে ‘হেফাজতের সন্ত্রাসীরা’।
মামুন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ওপর হামলা করে হেফাজত প্রমাণ করেছে যে, এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি রাজাকার-আলবদরদের দোসর।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা করা মানে পুরো বাংলাদেশের ওপর হামলা। এই হামলার মূল মাস্টারমাইন্ড মামুনুল-বাবুনগরীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে বক্তব্য দিয়েছেন মো. আল মামুন।
এনটি