দিদার শফিক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, যাদের আত্মত্যাগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা আজ তাদের সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত নেতৃবৃন্দ নিখিল পাকিস্তান জমিয়তের পরামর্শ ও নির্দেশনায় স্বাধীনতা সংগ্রামে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি ৭১ এর ২৪শে মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দলীয় প্যাডে পূর্ব পাকিস্তান জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ.স্বাক্ষরিত একটি দলীয় নির্দেশনা জেলায় জেলায় প্রেরণ করা হয়। উক্ত ঐতিহাসিক নির্দেশনায় এ অঞ্চলের স্বাধিকার আদায়ের ব্যাপারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
এ রকম আরো অনেক দুর্লভ তথ্য-উপাত্ত এখনো ইতিহাসের পাতায় সংরক্ষিত আছে।সুতরাং বহু রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কারো একার নয়,বরং কষ্টার্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের সবার।আজ বেলা ৩টায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সৈয়দপূর দারুল উলূম মাদ্রাসায় নীলফামারী জেলা জমিয়তের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা হারুন রিয়াজীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা গোলাম মাওলার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেল জমিয়তের সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাঈল হোসেন রিয়াজী,ডোমার উপজেলা জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহমূদ বিন আলম ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মাহদী বিন আজীজ। উপস্থিত ছিলেন শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রউফ, মুফতী আব্দুল মজীদ,ক্বারী জালাল আহমেদ ও ক্বারী মাকসূূদুল হকসহ স্হানীয় অনেক উলামায়ে কেরাম।