বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

নির্বাসিত উইঘুরদের মুসলিম শিশুকে নিজস্ব এতিমখানায় পাঠাচ্ছে চীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, জিনজিয়াং প্রদেশের নির্বাসিত সংখ্যালঘুর উইঘুর সম্প্রদায়ের বাবা-মায়ের সন্তানদের জোর করে এতিমখানায় পাঠাচ্ছে চীন।

গত বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

পরিবারের সম্মতি ছাড়াই এতিমখানায় আটকে রাখা সব উইঘুর শিশুকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। চীনে আত্মীয়-স্বজন ও সন্তানদের রেখে পালিয়ে যাওয়া অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সংস্থাটি এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।

কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

চীনে সন্তান রেখে যাওয়া অভিভাবক মিহরিবান কাদের ও আলবিকিম মেমতিনি। ২০১৬ সালে পুলিশি নিপীড়নের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হন। নিজেদের চার সন্তানকে অস্থায়ীভাবে দাদা-দাদির কাছে রেখে যান। কিন্তু দাদিকে বন্দি শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

২০১৯ সালের নভেম্বরে ইতালি সরকার তাদেরকে সন্তান নিয়ে আসার অনুমতি দেয়। কিন্তু তত দিনে চীনা পুলিশ তাদের জোর করে রাষ্ট্রীয় এতিমখানায় নিয়ে যায়। আরেক দম্পতি ওমর ও মেরিয়েম ফারুহ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে দুই সন্তানকে রেখে তুরস্ক পাড়ি জমান। কয়েক দিন পর তাদেরকেও এতিমখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অ্যাক্টিভিস্ট ও জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত দশ লাখ মুসলিমকে জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে আটক রাখা হয়েছে। তারা চীনের বিরুদ্ধে নিপীড়ন, বাধ্যতামূলক শ্রম ও মগজধোলাই করার অভিযোগ এনেছেন।

চীন জিনজিয়াংয়ে যে কোনও ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি, শিবিরে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটি প্রয়োজনীয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ