আওয়ার ইসলাম: সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসাথে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ হিন্দু পরিবারদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং সরকারের কাছে এহেন নিন্দনীয় হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তিনি বলেন, আমরা জানতে চাই, কারা এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে এবং কারা হাজার হাজার হামলাকারীকে সংগঠিত করেছে? অথচ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করাও হয়নি বলে গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। হাজার হাজার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করলো, অথচ আশ্চর্যজনকভাবে সেখান থেকে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হলো না কেন? সেখানকার আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায় বলেছেন তারা আগেই মাইকে হামলার খবর শুনে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছেন। এই হামলার খবর তাদেরকে আগে কারা জানালো? আগেভাগে হামলার আশঙ্কা জেনেও স্থানীয় প্রশাসন কেন যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি? এই অবহেলা বা ব্যর্থতার দায় অবশ্যই সেখানকার প্রশাসনকেই নিতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। আর হিন্দু গ্রাম শাল্লায় জলমহালের দখল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দাঙ্গা ও হানাহানির ঘটনা নিয়মিত এবং পুরোনো।
আজিজুল হক বলেন, পর্যাপ্ত তদন্ত, অনুসন্ধান ও প্রমাণ ছাড়াই হেফাজতে ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে কয়েকটি চিহ্নিত মিডিয়া। আমরা তাদের এহেন অপেশাদার ও হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অতীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে হেফাজতে ইসলাম সেটার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা সবাইকে স্পষ্ট জানাতে চাই যে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর উপাসনালয় ও বাড়িঘরে কোনো ধরনের হামলাকে হেফাজত সমর্থন করে না।
-কেএল