আওয়ার ইসলাম: গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা হজরত বেলালের সুরে তেলাওয়াত শুনলাম আরবি ভাষায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাতৃভাষা আরবীকে খুবই ভালোবাসতেন। আমিও কুরআন ও আরবি ভাষার পাশাপাশি আমার বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা করি। আমাদের শিশু কারিরা আরবিতে যে সুমধুর তেলাওয়াত করেছেন, আমরা শুনলাম তার সঙ্গে যদি বাংলাতে অনুবাদ হতো। তার মর্মকথা আমাদের হৃদয়ে গ্রোথিত হতো। তবে আপনাদের এ উদ্যোগে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশনেএর ১০ম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা গ্র্যান্ডফিনাল মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমাদের রাসূল সা. খোদার সৃষ্ট কোনো প্রাণীকে মারার অধিকার দেয় নাই। আমাদের ইসলাম হলো সহনশীল। এজন্য আপনারা আলেম ওলামারা কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা ঢাকা ডেমরা হাজীক্যাম্পাস সংলগ্ন নিজস্ব বিশাল হলরুমে সারাদেশ থেকে আসা এক হাজার কুরআন হাফেজদের উপস্থিতিতে এক কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, ভারতের দেওবন্দ দারুল উলুম মাদরাসার তাফসীর বিভাগের প্রধান আল্লামা আফজাল কাঈমুরী, বিচারক ও কুরআন তেলাওয়াত করেন ইরানের শায়খ সাঈদ তূসী, মিশরের শায়খ মাহমুদ তুখী, প্রধান বিচারক ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি ও দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কুরআন মাহফিলের আয়োজক শায়খ নেছার আহমদসহ উপস্থিত দেশ-বিদেশের অতিথিসহ সবাইকে আমার অন্তর থেকে সশ্রদ্ধ সালাম এবং আপনাদের এ প্রোগ্রাম আমার অনেকদিন মনে থাকবে। বক্তব্যের শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে পবিত্র কুরআন শরীফ উপহার দেন আয়োজক ও মাহফিলের সভাপতি শায়খ নেছার আহমাদ এবং মিশরের অতিথি শায়খ মাহমুদ তুখী।
১৭ মার্চ ৫০০ কুরআন হাফেজদের পাশের সনদ প্রদান করা হয়। হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ১ম পুরস্কার নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।
এমডব্লিউ/