আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা হাফেজ কারী শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের অবদান ছিল অসামান্য। হাফেজ্জী হুজুর রহ. বলেছেন, এ লড়াই(মুক্তিযুদ্ধ) জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। তাঁর এই বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আলেম-উলামাসহ অসংখ্য মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার কারণে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং পাকবাহিনী তাকে হত্যা করতে উদ্ধত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যারা হাফেজ্জী হুজুরকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে সড়কের নামফলক থেকে তার নাম মুছার ষড়যন্ত্র করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, দেশ ও ইসলামের শত্রু, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারী। আমরা সরকারের কাছে তাদের বিচার ও শাস্তি দাবী করছি। হাফেজ্জী হুজুরের নাম পুনরায় সড়কের নামফলকে বসানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।
আজ শনিবার সকাল ১০ টায় কিশোরগঞ্জ সদরের অতিথি কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে খেলাফত আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খেলাফত আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর ফার্সী কবি মাওলানা শফি উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুব নেতা মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসাইন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক মো. মোফাচ্ছির হোসাইন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মৌলভী আব্দুর রকিব, জামিয়া ইমদাদিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, মাওলানা আনযার শাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি সূলতান মহিউদ্দীন, মুফতী মামুনুর রশিদ, মাও. মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডার জনাব আসাদুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক কারী মাসুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, যুব নেতা আব্দুল্লাহ টিটুসহ কিশোরগঞ্জ জেলা ও বিভিন্ন থানা নেতৃবৃন্দ।
এমডব্লিউ/