আওয়ার ইসলাম: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আরবী আল্লাহ ও রাসুলের ভাষা। বাংলা আমাদের ভাষা, সে ভাষায় আমরা কথা বলি।
আজ (১৮ মার্চ) বৃহস্পতিবার সাইনবোর্ডস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত দশম ‘জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা’র গ্র্যান্ডফিনালে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
মিশরের ক্বারী সাহেব যে তিলাওয়াত করেছেন, অত্যান্ত সুন্দর হয়েছে, আমার খুব ভাল লেগেছে। এর সাথে যদি বাংলা অনুবাদ হতো আরো ভাল লাগতো। আমাদের শিশু হাফিজ তিলাওয়াতও খুব ভালো লেগেছে সাথে যদি বাংলা অনুবাদ হতো আরো ভাল লাগতো।
তিনি বলেন, আমি আজকের এই প্রোগ্রামে এসে মোহিত হয়েছে। আয়োজকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ছোটবেলায় কুরআন তিলাওয়াত শিখেছি। পরবর্তীতে ভুলেগেছি। এখন শিখা শুরু করেছি। আপনাদের সহযোগীতা পেলে আরো ভালভাবে শিখতে পারব। তিনি আরো বলেন, ইসলাম হলো সহনশীল ধর্ম। মানবজাতির উন্নয়নের ধর্ম। হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান সবই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। অকারণে কোন প্রাণীকে হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। শাল্লার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা ভালো কাজ করেনি।
গ্র্যান্ডফিনালে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক নাজেমে তা’লীমাত আল্লামা আফজাল কাঈমূরী। অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে থাকবেন ইরানের বিখ্যাত কারী শাইখ সাঈদ তূসী, মিশরের বিখ্যাত কারী থাকবেন শায়খ মাহমুদ তূখী। প্রধান বিচারক হিসেবে থাকবেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ ক্বারী আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী দেশের সর্ববৃহৎ এ কুরআন প্রতিযোগিতা বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে বলেন, বাংলাদেশি হাফেজে কুরআনগণ সারা বিশ্বেই কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করে আসছে। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। তবে সরকারিভাবে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না।
আমরা তাদের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান করছি। তাছাড়া শিশু হাফেজে কুরআনদের মূল্যায়ণের নিমিত্তেই আমরা আয়োজন করেছি ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। দেশের ৫০টি জেলা থেকে ২০ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী থেকে বাছাই করে ২০০জনকে নিয়ে শুরু হয়েছে আজকের গ্র্যান্ডফিনাল। এর মধ্য থেকে বেছে নেয়া হবে ৩৩জনকে। সবশেষে চূড়ান্ত বিজয়ীকে দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আজ রাত ৮টা পর্যন্ত।
জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে নগদ ১ লক্ষ টাকা। যার পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়া হবে প্রথম স্থান অধিকার করা ছাত্রকে। আর বাকি পঞ্চাশ হাজার দেয়া হবে সেই ছাত্রের উস্তাদকে। যিনি মেহনত করে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রিয় ছাত্রকে।
-এটি