আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান, আমিরে শরিয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর শত জন্ম বার্ষিকীতে মোদির মত একজন কুখ্যাত জালেমকে নিমন্ত্রণ করা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিপন্থী। বাংলাদেশের জনগণ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। ইসলামবিদ্বেষী মোদি কখনো মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না। সরকারের উচিত বাংলাদেশের জনগণের চিন্তা চেতনা কে মূল্যায়ন করে জালেম মোদির নিমন্ত্রণ বাতিল করা।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক জরুরি বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী সহকারি মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মাওলানা শফি উল্লাহ প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, ভারতের আদালতে পবিত্র কোরআনের আয়াত বাতিলে রীট মোদি সরকারের আরেকটি ঘৃন্য ষড়যন্ত্র। কোরআনের কোন আয়াত হরফ এমনকি একটি যের-যবর পরিবর্তন (তাহরিফ) করার অধিকার দুনিয়ার কোন আদালতের নেই। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআন যথা রীতি অক্ষুন্ন থাকবে, যার অঙ্গিরার মহান আল্লাহ নিজেই করেছেন। পবিত্র কুরআন পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র বিশ্ব মুসলিম কখনো বরদাশত করবে না। কোরআন প্রেমিক তৌহিদী জনতা যেকোনো মূল্যে তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
তিনি আরো বলেন, জনমত উপেক্ষা করে জালিম মোদিকে বাংলাদেশে আনা কিছুতেই ঠিক হবে না। মোদি সরকার এন আর সির মাধ্যমে ভারতকে মুসলিম শূন্যকরার ষড়যন্ত্র করছে, কাশ্মীর দখল করে মুসলমানদের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে বিশ্ব মুসলিমের অন্তরে আঘাত হেনেছে, বিভিন্ন চুক্তিতে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে একের পর এক সীমান্ত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব জঘন্য কর্মকাণ্ড থেকে মোদিকে ফিরে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত মোদিকে বাংলাদেশের মত মুসলিম রাষ্ট্রে নিমন্ত্রণ করা উচিত হয়নি।
-এটি