আওয়ার ইসলাম: জাতীয় শিশুকিশোর সাহিত্য পত্রিকা মাসিক নকীবের "পাঠক ফোরাম" ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাদ আসর ভাটারস্থ আই.এস.সি.এ. মিলনায়তনে সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়।
নকীব পাঠক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের পরিচালক মুহাম্মাদ মিজান বিন নাজিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নকীব পাঠক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র উপদেষ্টা মুহাম্মদ নাঈম বিন জামশেদ।
নবীন লেখকদেরকে সতর্ক করে তিনি বলেন, সব লেখকরাই নিজস্ব একটি চিন্তাচেতনা লালন করেন। সবার আদর্শের মধ্যেই ভিন্নতা থাকে। আমরা যারা লেখালেখি করছি, নিজেদের আদর্শ ও চিন্তাচেতনার ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
সাহিত্য আসরে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের বিশেষ প্রতিবেদক ও জাতীয় লেখক পরিষদের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ইসলামের নাম ব্যবহার করে অনেকেই অনেক ধরনের কাজ করছে। কেউ মসজিদে ইমামতি করছে, কেউ মাদরাসা পড়াচ্ছে, কেউ সমাজসেবা করছে, কেউ রাজনীতি করছে, আর কেউবা লেখালেখি ও সাংবাদিকতা করছে। সর্বক্ষেত্রে আমাদের নিয়তকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে। আমরা যে কাজই করি, তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য। তাহলেই আমরা সফল হবো। নয়তো দ্বীনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে শত কাজ করলেও তা দ্বীনের কাজ হিসাবে পরিগণিত হবে না।
তরুণ আলেম সাংবাদিক মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ আরো বলেন, বর্তমানে তরুণদের মধ্যে যারা লেখক হচ্ছেন, তারা আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগেন। পাঞ্জাবি টুপি পরেও যে একজন ভালো লেখক হওয়া যায়, এ কথা তারা বিশ্বাস করেন না। এ কারণে দেখবেন, মাদরাসা পড়ুয়া তরুণ লেখকরা বইমেলায় গেলে টুপি ছাড়া যায়। সবাই এমন নয়। তবে অনেকেই এমন আছেন।
আচ্ছা, আপনারাই বলেন, আবু তাহের মিসবাহ, শরিফ মুহাম্মদ, যাইনুল আবেদিন, উবাইদুর রহমান খান নদভি, কবি মুহিব খান এবং জহির ইবনে মুসলিম, তারা কি লেখক নন? আমরা লেখক হতে গিয়ে যদি নিজেদের শেকড় ভুলে যাই, তাহলে আমাদের লেখক হওয়ার চেয়ে না হওয়া মঙ্গলজনক। এমন পঁচা চিন্তাচেতনা ভেতরে লালন করে লেখক হলে ইসলামের মারাত্মক ক্ষতি হবে। পরবর্তীতে এরাই মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধে কলম ধরে।
আওয়ার ইসলামের সহ সম্পাদক, সাহিত্য বিকাশ কেন্দ্রের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আফফান বলেন, লেখালেখি শুরু করার আগেই নির্ধারণ করতে হবে আমরা কেন লেখব। আমরা লেখাব- গতানুুগতিক সাহিত্যচর্চা নয় বরং দীনের প্রচারের জন্য। দাওয়াতের নিয়তে। তবেই আমাদের লেখালেখির মহৎ উদ্দেশ্য থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে এমন এক সময় আসবে, যখন বর্তমানের বিকৃত ইতিহাস নির্ভর ভিডিওচিত্র, নাটক, মুভি ইতিহাসের দলিল হিসাবে উপস্থাপন করা হবে। তাই আমাদের অন্তরে এই বিষয় প্রোথিত করতে হবে, বর্তমানের লেখা আগামী দিনের দলিলপত্র। এই জন্য সঠিক ও চেপে রাখা ইতিহাস আমাদেরকেই লিখতে হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন মাতৃভাষা প্রেমী সাহিত্যের আগামীর কর্ণধার নবীন লেখকগণ।
-এএ