আওয়ার ইসলাম: টিকা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী এমন কোনও প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
রোববার (১৪ মার্চ) ব্রিটিশ এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, তাদের উদ্ভাবিত করোন ভাইরাসের টিকা নেয়া লোকেদের সুরক্ষা তথ্য পর্যালোচনা করে রক্তের জমাট বাঁধার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কয়েকটি দেশে টিকা নেয়ার পর কিছু মানুষের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। তবে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী নয়।
টিকা সুরক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পালমোনারি এম্বোলিজম, গভীর শিরা থ্রম্বোসিসের কারণে বা থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া ঝুঁকির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের ব্যবহার স্থগিত করেছে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার ইংলিশ বলেন, অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় যে দেশগুলি এই জাতীয় সমস্যার করণে টিকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ভাইরাসের বিস্তারকে ধীর করতে এবং মহামারিটি বন্ধ করতে পর্যাপ্ত মানুষকে টিকা দেয়া প্রয়োজন।
অক্সফোর্ডের টিকা নিলে মানুষের শরীরের রক্ত জমা বাঁধবে-এমন কোনো আভাস মেলেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, অক্সফোর্ডের টিকা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অক্সফোর্ডের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও এ ধরনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়নি।
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সিও (ইএমএ) জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
জানা গেছে, এখনও অবধি গভীর শিরা থ্রম্বোসিসের ১৫টি এবং পালমোনারি এম্বোলিজমের ২২টি ঘটনা ঘটেছে। যা অন্যান্য লাইসেন্সকৃত ভ্যাকসিনের মতোই।
সংস্থাটি বলেছে, ইউরোপীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। তবে পুনরায় পরীক্ষার কোনওটিই উদ্বেগের কারণ দেখা যায়নি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিকশিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অনেক দেশে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনও তা অনুমোদিত হয়নি।
-এএ