আওয়ার ইসলাম: ভারতে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী কর্তৃক পবিত্র কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতের ওপর আপত্তি এবং পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে করা রিটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদের সভাপতি শাইখুল হাদীস মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হওয়া সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। মানবজাতির মুক্তির একমাত্র সংবিধান। কোরআন শরিফ আল্লাহতায়ালার কালাম। তিনি নিজেই কিয়ামত অবধি এ কোরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাস, অবতীর্ণ হওয়া থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত কোরআন শরিফের একটি আয়াত এমনকি একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি এবং কিয়ামত পর্যন্ত কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। কোরআন শরিফে কোনো প্রকারের পরিবর্তন সাধন হওয়ার দাবিকারী মুসলমান থাকতে পারে না, সে নিঃসন্দেহে কাফের।
কোরআন পরিবর্তনের দুঃসাহস দেখানোকে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল উল্লেখ করে মাওলানা রাব্বানী বলেন, ওয়াসিম রিজভী কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতের ব্যাপারে আপত্তি তোলে সেগুলো পরিবর্তনের জন্য ভারতের সুপ্রিমকোর্টে রিট করে কার্যত বিশ্ব মুসলিমের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এই রিট করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে উগ্রবাদী এ শিয়া। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরিফের কোনো আয়াত পরিবর্তনে কোর্টের রিট বিশ্বের মুসলমানরা মেনে নেবেন না।
মোদি সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত এর মহাসচিব বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের কারণেই এ ওয়াসিম রিজভী আজ কোরআনের আয়াত পরিবর্তনের জন্য রিট করার সাহস পাচ্ছে। ওয়াসিম রিজভী অতীতেও তার বক্তব্যে ইসলাম সম্পর্কে নানা বিতর্কের সৃষ্টি দিয়েছে। আজ সে প্রকাশ্যে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট— পবিত্র কোরআন নিয়ে পৃথিবীর নিকৃষ্টতর কাফের শিয়াদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড কখনও বরদাশত করা হবে না।
অনতিবিলম্বে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট থেকে এই রিট খারিজ করতে হবে এবং বিশ্বের পৌনে ২০০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে এই রিট করার অপরাধে কুখ্যাত কাফের শিয়া ওয়াসিম রিজভীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরআনের আয়াত পরিবর্তনের এই রিট খারিজ না হলে মুসলিম বিশ্বে যেই আন্দোলনের ঝড় উঠবে তা কোনো দেশ, জাতি থামাতে পারবে না।
-এটি