মুহাম্মদ উমর ফারুক ইবরাহীমী।।
ছাত্রদের শাস্তি দেয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি, প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব জামিয়া দারুলউলুম করাচির শায়খুল হাদিস ও নায়েবে মুহতামিম আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি হাফি.।।
যেসকল ছাত্ররা আমাদের কাছে এসেছেন, চাই যেকোনো বিভাগেরই হোক, সবাই ইলমে দ্বীনের মেহমান। যদি আমরা তাদেরকে ইজ্জত না করি তাহলে অন্য লোকেরা কিভাবে করবে? সুতরাং ছাত্রদের প্রতি স্নেহের সাথেসাথে তাদের ইজ্জতের প্রতিও লক্ষ্য রাখবেন। তাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করবেন।
এমন কোন আচরণ করবেন না যাতে তাদের অসম্মান হয়। একথা এজন্য বলছি যে, কখনো উস্তাযরা ছাত্রদের সাথে বে-তাকাল্লুফির সীমা ছাড়িয়ে যান। এটা কিছুতেই উচিত নয়। যেমন উস্তায যদি ছাত্রদেরকে এভাবে বলেন যে- আরে ব্যাটা তুই এটা কী করিস? আরে ব্যাটা এমন করিস ক্যান? আরে ব্যাটা এখানে বস এধরণের কথাবার্তা যদিও তিনি বেলা-তাকাল্লুফ বলেন কিন্তু এর একটা খারাপ প্রতিক্রিয়া এবং প্রভাব ছাত্রদের উপর পড়ে।
আমাদের কাজ তো তাদেরকে তরবিয়ত প্রদান করা, তাদেরকে সম্বোধনের পদ্ধতি শেখানো যে, যদি তুমি শত্রুর সাথেও কথা বল তখনও তোমাকে আদবের সাথে, নম্রতার সাথে, তাকে সম্মান জানিয়ে কথা বলতে হবে। কারো তানকিদ (সমালোচনা) করলে তাও ভদ্রতার সাথে করতে হবে। প্রথমদিন থেকেই ছাত্রদেরকে আমাদের এই সবক শেখাতে হবে।
আবারো বলছি, আল্লাহর ওয়াস্তে এমন কাজ করবেন না। তাদেরকে ইজ্জত করুন, ইজ্জত করা শেখান। তারা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেহমান। তাদের সাথে সম্মান ও মুহাব্বতের আচরণ করুন। জ্বি, এটা ঠিক যে তরবিয়তের জন্য কখনো ধমক দিতে হয়, শাস্তি দিতে হয়, তা দিবেন, কিন্তু পরিশীলিত ও মার্জিত পন্থায় করবেন। এটাই আমার সর্বশেষ নিবেদন, দয়া করে লক্ষ্য রাখবেন!
-এটি