আওয়ার ইসলাম: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের হেরাত প্রদেশে একটি পুলিশ স্টেশনের কাছে শক্তিশালী গাড়ি বোমা হামলায় আটজন নিহত হয়েছে। শুক্রবারের (১৩ মার্চ) এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৫০ জন আহত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৩ মার্চ) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রাদেশিক হাসপাতালের মুখপাত্র রফিক শেরজাই বলেছেন, শুক্রবারের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ারা আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতদের মধ্যে একজন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী এবং বাকিরা বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান।
তবে, এই হামলার দায় এখনো পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। হেরাতের গভর্নর সাইয়েদ ওয়াহিদ কাতালি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি নারী ও শিশু রয়েছেন।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে হামলা বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে নিন্দা জানিয়েছেন। সম্প্রতি আফগানিস্তানে এই হামলাগুলি বেসামরিক কর্মচারী, বিচার বিভাগ, মিডিয়া, স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবতাবাদী কর্মীদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লেভান্ট (আইএসআইএল) গোষ্ঠী বহু লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তালেবান ও সরকার একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টাকে ব্যর্থ করার জন্য একে অপরকে দোষ দিচ্ছে তারা।
মার্কিন প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিতে একটি যুদ্ধোত্তর আফগানিস্তানে নির্বাচন এবং সাংবিধানিক সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন ‘শান্তি সরকার’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এখানে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার রক্ষারও দাবি জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলও ‘নারীদের পূর্ণ, সমান ও অর্থবহ অংশগ্রহণ’এবং সহিংসতা হ্রাসের দিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
-এটি