আবদুল্লাহ তামিম।।
আমার নবির পরে নবি নাই, সংসদে আইন চাই, এ আইন পাশ করতে যদি রক্ত দিতে হয়, রক্ত দিবো, আন্দোলন করতে হয় আন্দোলন করবো, যদি জেল খাটতে হয়, জেল খাটবো বলে মন্তব্য করেছেন, চরমোনাই নায়েবে আমীর সৈয়দ মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আজ বৃহস্পতিবার কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর ২নং জোন এর উদ্যোগে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার নবিকে নবির গুণে যদি কেউ মানে, কিন্তু শেষ নবি না মানে তারও ঈমান থাকবে না। আমার নবিকে নবিও মানতে হবে, শেষ নবিও মানতে হবে। শেষ নবিও মানতে হবে। এমন অনেক গুণ আছে যেগুলো আমার নবির আগের নবিদের দেওয়া হয়নি। এমন একটি গুণ হলো নবি সা. কে শেষ নবি হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এটা যে অস্বীকার করবে সে কাফের, যে এটার পক্ষে কথা বলবে সেও কাফের।
গোলাম আহমদ কাদিয়ানি তারা নিজেদের মুসলিম দাবি না করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে তারা যদি আহমদিয়া মুসলিম জামাত ব্যবহার করে আমরা তাদের বিরুধিতা করবো। বিশ্বের অনেক দেশে সরকারীভাবে কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। আমরা জানতে চাই আমরা সরকারীভাবে তাদের কাফের ঘোষণা করবেন নাকি করবেন না। কাদিয়ানিরা কাফের, সংসদে আইন পাশ করতে হবে। সরকার ঘোষণা করলেও তারা কাফের, না করলেও তারা কাফের। তবে সরকার যদি তাদের কাফের ঘোষণা করে তাহলে আমরা তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মনে করবো।
রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও জাগরণী সংসদ মাঠে আগামী আজ দুপুর ২টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হবে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের মিডিয়া উইং, শাহাজানপুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি সুলতান আহমনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করছেন- মাওলানা শিব্বির আহমদ ও হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালী।
এতে প্রধান মুরুব্বি হিসেবে আছেন আন্তর্জাতিক মজলিস তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের পৃষ্ঠপোষক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন, আন্তর্জাতিক মজলিস তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের প্রধান উপদেষ্টা, আমিরে হেফাজত শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন, আন্তর্জাতিক মজলিস তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
উপস্থিত আছেন, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী, মাওলানা সফিউল্লাহ পীরজঙ্গী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী, আন্তর্জাতিক মজলিস তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজী, মুফতী নজরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম প্রমূখ।
-এটি