আওয়ার ইসলাম: অভিযুক্ত চট্টগ্রামের মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমির হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. ইয়াহইয়া শিশু পেটানোর ঘটনায় মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আসলে যে রকম দেখা যাচ্ছে, অত জোরে মারতে ছিলাম না, বেতটাও হাফ বেত, এক বিঘতের চেয়ে একটু বড় সাইজ। বেশি জোরে লাগে না। কিন্তু আমার অন্যায় হইছে, ওইভাবে মারা উচিত হয় নাই।’
জানা গেছে, ছেলের জন্মদিনে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এক মা। ছেলেটি থাকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার এক মাদরাসায়। আধ ঘণ্টার মতো ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মা যখন ফিরছেন, আট বছরের শিশুটি তখন মায়ের পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু মাদরাসার এক শিক্ষক শিশুটিকে ফিরিয়ে আনেন, ঠেলতে ঠেলতে ঢোকান এক কক্ষে, তারপর তাকে কিছুটা মারধর করেন।
ভিডিওচিত্রে যে ব্যক্তিকে প্রহার করতে দেখা গেছে, তার সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তিনি মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমি নামে ওই মাদরাসার হিফয শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। গত তিন মাস ধরে এই আবাসিক মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। তবে বুধবার সকালে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে বলে তিনি জানান।
মোহাম্মদ ইয়াহিয়া জানান, পেটানোর ঘটনায় শিশুটির মা-বাবা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি জানান, জন্মদিনে শিশুটির মা ছেলের জন্য মিষ্টি ও চকলেট নিয়ে এসেছিলেন। এমনকি তাকে (মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে) নাস্তা খাওয়ার জন্য মা দুইশো টাকাও দিয়েছিলেন। এরপর মা যখন চলে যাচ্ছেন, সেসময় শিশুটি দৌড়ে মাদরাসার বাইরে বেরিয়ে রাঙ্গামাটি-হাটহাজারী চৌরাস্তায় চলে যায়।
এমডব্লিউ/