আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে। তবে সাজা মওকুফ ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বিবেচনা করা হয়নি। এ কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, দেশের ভেতরে থেকে তিনি যেকোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিতের পর ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে মুক্তির মেয়াদ আবারো ছয় মাস বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি সাজা মওকুফ এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে মতামত চাওয়া হয় আইন মন্ত্রণালয়ের।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগের শর্তেই আরও ছয় মাসের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের দণ্ড স্থগিতের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা আমাদের সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দণ্ড স্থগিতের আবেদনের ভেতরে শর্ত শিথিলের যে কথা বলা হয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) দেশের যেকোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন, এ বিষয়ে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
আনিসুল হক জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পেলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সরকারের নির্বাহী আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল হাসপাতাল থেকে মুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া এখন রাজধানীর গুলশানে তাঁর ভাড়া বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দেওয়া হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না, পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, নিজ বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
দ্বিতীয় দফায় মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২ মার্চ খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। পরের দিন এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ভাই আমার কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এই আবেদনের শর্ত শিথিল করে তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।’
আবেদনের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি বলে আবেদনে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। জামিনের শর্ত শিথিল ও দণ্ড মওকুফ করা যায় কি না, সেটা সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন।
-কেএল