খাদিজা ইসলাম: মায়া এক অদ্ভুত অনুভূতির নাম। মায়া কেন হয় এ প্রশ্ন আর উত্তর দুটোর একটির ও হদিস মিলবে না। কাছের মানুষের মায়া, দূরের মানুষের প্রতি মায়া। মায়া জিনিসটা বড্ড বেশি খারাপ, একবার কেউ মায়ায় পড়লে তা কাটিয়ে ওঠা দূরুহ। চলতি পথে মায়া জন্মায়। ফেসবুকে হঠাৎ পাওয়া অল্প পরিচয়ে কারও প্রতি ভীষণ মায়া জন্মে। সে মায়া বড্ড ভয়াবহ, হুট করে কাটিয়ে ওঠা যায় না।
আর যদি কখনো সেই মায়াভরা মানুষটি ‘ভালো থেকো’ বলে হুট করে হারিয়ে যায়, তখন মানুষের তীব্র কষ্ট হয়, বুক শূন্য শূন্য লাগে, মনে হয় কোথাও আজ কেউ নেই। একাকিত্ব চেপে ধরে বুকের ভেতর তখন খুব কষ্ট লাগে। এ ‘ভালো থেকো’ বলার মাঝে তীব্র অভিমান কাজ করে। মানুষ নিঃস্বার্থভাবে মায়ায় জড়ায়।
অনেকেই বারবার খবর নিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা। এ মায়ার ঋণ শোধ হওয়ার নয়। এই ঋণে থাকতে চাই আজীবন। অদৃশ্য মায়ায় জড়িয়ে বিদায় নেয় কতশত প্রাণ। প্রাণ বিনাশ করতেও যেন এ মায়ার জুড়ি নেই। মায়াগুলো বড্ড খারাপ। মানবটাকে ও শান্তিতে থাকতে দেয়না মায়া। হারিয়ে গেলে কেবল এক সমুদ্র কষ্ট দিয়ে যায়।
মায়ার এ রাজ্য পাপের রাজ্যে নিয়ে যায়। নিজের অজান্তেই কখন যে অনিয়ম আর অরাজকতা মধ্যে ডুবে যাওয়া হয় টেরই পাওয়া যায় না। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে ভিন্ন দিকে রুপ নেয় মায়া। কত আপন প্রিয় মুখ ঝাপসা লাগে,মায়ার সে জাল থেকে বের হওয়া যায় না।
মানুষগুলোর প্রতি ভালোবাসা কোথাও যেন লুকিয়ে থাকে,অভিমানের চাদরে সামনে না আসলে তাদের স্থান থাকে মনের গহিনে।কি জানি একটা কথা ছিল ভালোবাসায় মায়া থাকে না, কিন্তু সব মায়ায় ভালোবাসা থাকে, ভীষণভাবে থাকে। আসলে সবই যেন ইন্দ্রজাল। উথাল পাথাল এ মন মায়া যেন কিছুতেই কাটাতে পারেনা। অসুখটা নিরাময় কোনো ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি।
-কেএল