আওয়ার ইসলাম: আসন্ন রমজানের জন্য পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। অন্যবছরের চেয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) দ্বিগুণ পরিমাণ পণ্য বাজারে সরবরাহ করবে। তাই দাম নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য মজুদ না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ রোববার (৭ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। পরে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় বাজারে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্য আমরা ২৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করতে যাচ্ছি টিসিবির মাধ্যমে। যাতে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো যেতে পারে। সব রকম ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। তবে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াটাই জরুরি অনেকখানি।
কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় না। যেমন- ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এই বাজারটা আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
রমজানের সময় দাম বাড়ে না, তবে রমজানের আগেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, এ বিষয়ে আমি একমত। কৌশলের বাইরেও কিছু কথা আছে। যেমন প্যানিক বায়িং বলে একটা কথা রয়েছে। আমাদের বাড়ির বউরা রোজা শুরুর আগেই বলে দাম বেড়ে যাবে। তাই রোজার নিত্যপণ্য কিছু কিনে রাখো। এতে করে হয় সবাই রোজা শুরুর আগেই একসঙ্গে বাজারে ঢুকে পড়ি। তাহলে বিক্রেতারা তো সুযোগ নেবেই। আমরা সে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ধরুন রোজা শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত আমরা কিছু কিনব না, চুপ করে থাকব। দেখবেন কোনো উপায় থাকবে না বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর। সুতরাং মূল্যবৃদ্ধিতে দুই পক্ষের কিছু না কিছু সংযোগ রয়েছে আর সুযোগ তো ব্যবসায়ীরা নেন। আমরা চেষ্টা করবো দয়া করে ভীতি হয়ে কেনাকাটা করবেন না। কেনাটা স্বাভাবিক রাখুন। ক্রেতাদের দায়িত্বও কেনাটা সীমাবদ্ধের মধ্যে রাখা।
-এটি