মুহাম্মাদ আল-আমিন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কাদিয়ানিরা দেশের স্বাধীনতার জন্য কঠিন হুমকি স্বরূপ এবং মুসলমানের ইমান হরণের গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
গতকাল ৬মার্চ শনিবার ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সীরাতুন্নবী সা.সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতদিন এদেশে ইত্তেফাকুল উলামার মতো সংগঠন এবং হেফাজতে ইসলাম থাকবে ততোদিন এদেশে ইসলামের কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সারা বিশ্বে আলেম ওলামাদের সম্মিলিত ঐক্যমতে ভিত্তিতে কাদিয়ানিরা কাফের। যারা খাতামুন নাবুয়্যাত বা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী মনে করে না তারা সকল ঈমামগনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে, সকল মাজহাবের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাফের। যেহেতু কাদিয়ানিরা কাফের মানে অমুসলিম, কিন্তু এরা মুসলিম নাম ধারন করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে পবিত্র মক্কা মদিনা সহ পৃথিবির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুসলিম সেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সরল সহজ মুসলমানের ঈমান ধংস্ব করে। তাই এদেরকে রাষ্ট্রিয় ভাবে কাফের ঘোষনা করতে হবে । যাতে এরা মুসলিম নাম নিয়ে হজ্ব পালন সহ কোথায় কোন সুযোগ সুবিধা না পায়। যারা কাদিয়ানেদের কাফের মনে করবে না। তাদের মত আক্বিদা পোষন করবে তারও নিঃসন্দেহে কাফের।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, আজ আমার বিরুদ্ধে কয়েকটা মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার অপরাধ শুধু একটাই আমি শুধু বলেছিলাম মদীনা সনদে দেশ চলবে। ফলে নাস্তিকরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
হে লোকসকল! যতদিন আমার শরীরে এক ফোঁটাও রক্ত থাকবে ততোদিন আমি সত্যের পক্ষে বলে যাবো, যদি এর জন্য আমার ফাঁসিও হয় তাতেও আমি রাজী আছি।
এর আগে সকাল ১০টায় ইত্তেফাকের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়,সম্মেলনের শুরুতেই মাঠের কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়,ধারণা করা হচ্ছে প্রায় অর্ধলক্ষ তৌহিদী জনতার সমাগম হয়েছিলো।
এর পরপরই আলোচনা করেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়্যার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান,তিনি সুন্নত এবং সীরাতের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা খুরশেদ আলম কাসেমি, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা নজরুল ইসলাম কাসেমি, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি,মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতি নোমান কাসেমি প্রমুখ।
পরে রাত ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
-কেএল