আওয়ার ইসলাম: ইরাকের শিয়াদের শীর্ষ নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আল-সিস্তানির সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস সাক্ষাৎ করেছেন। আল-সিস্তানির সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস সাক্ষাৎকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
আজ শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকের পবিত্র নগরী নাজাফ থেকে তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দেন। সেখানে ইরাকে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে মুসলিমদের আহ্বান জানান পোপ ফ্রান্সিস। আল-সিস্তানির অফিস ও ভ্যাটিকানের দীর্ঘ আলোচনার সূত্র ধরে শনিবার আল-সিস্তানির বাড়ি যান পোপ।
সাক্ষাতের পর এক বিবৃতি দেয় আল-সিস্তানির অফিস। সেখানে বলা হয়, ইরাকের খ্রিষ্টানদের রক্ষায় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রয়েছে ও শিয়া নেতা নিশ্চিত করেছেন, সব ইরাকিদের মতো শান্তি ও নিরাপত্তা পাওয়া এবং পূর্ণ সাংবিধানিক অধিকার তাদের রয়েছে।
এ সময় ইরাকের ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস সময়ে দুর্বল ও সবচেয়ে নিপীড়িতদের রক্ষায় আওয়াজ তোলায় আল-সিস্তানি ও শিয়া জনগণকে ধন্যবাদ জানায় ভ্যাটিকান। গতকাল শুক্রবার এক ঐতিহাসিক সফরে ইরাকে পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। দেশটিতে এটিই প্রথম কোনও পোপের সফর। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটি পোপ ফ্রান্সিসেরও প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
করোনাভাইরাস ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে পোপের এই সফর বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণমাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হলেও ৮৪ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি সফরের জন্য ‘দায়িত্বে আবদ্ধ’ ছিলেন।
ইরাকের উত্তরে অবস্থিত ইরবিল শহরের এক স্টেডিয়ামে গণ জমায়েতে অংশ নেবেন পোপ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যকে পোপের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে কারফিউ।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি বিমানবন্দরে পোপকে অভিবাদন জানান। বিমানে পোপ জানান, আবারও ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতীকী সফর এবং এই ভূমির প্রতি এটি কর্তব্য যে ভূমি অনেক বছর ধরে শহীদ হয়েছে।’ সূত্র: আল জাজিরা।
-এটি