আওয়ার ইসলাম: আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সহনীয়তা, দুযোর্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জীবিকা এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ভাসানচর রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ।
দ্বীপটিতে তিন স্তরের দূর্যোগ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট আয়োজিত এক সেমিনারে ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক এক গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের একদল শিক্ষক এই গবেষণা করেন।
কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসযোগ্যতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণার অত্যন্ত প্রচলিত ‘গুণগত পদ্ধতি’ অবলম্বনে গবেষণা পরিচালিত। ‘সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিষি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএফআইএসএসের চেয়ারম্যান কমোডর এম নুরুল আবছার (অব.) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সাদেকা হালিম।
সেমিনারে ফলাফল তুলে ধরে গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের সুযোগ-বিধাস অপর্যাপ্ত। ভাসানচর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ একটি জায়গা। দ্বীপটিতে আধুনিক সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে, আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপটিতে যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মানবাধিকারের নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে অবস্থার উন্নতির জন্য আরো অনেক ব্যবস্থা চলমান আছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে এই দ্বীপটি স্ট্যাবল। দ্বীপটির ওপর দিয়ে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের পথ যায়নি। এখন যদি ১৯৭০ সালের মতো ঘূর্ণিঝড়ও হয় সেটাকেও মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা এই দ্বীপে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার এখানে ১৯ ফিট উচ্চ বাঁধ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
-এটি