আওয়ার ইসলাম: এবার মশার বিরক্তিকর গান এতটাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে নগরবাসী দুই মেয়র এর দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ বলেছেন বেশি কথা না বলে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করুন আর না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিন।
আবার কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন রাজধানী ঢাকা এখন মশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। অনেকে বলেছেন কালেভদ্রে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের মশার ওষুধ স্প্রে করতে দেখা যায়, নিয়মিত কাউকে চোখে পড়ে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য বড় ‘থ্রেটেনিং’। এজন্য ৮ মার্চ থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তাতে এরই মাঝে মশার উপদ্রব আগের চাইতে কমতে শুরু করেছে।
মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ
মশা নিধনে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ রেখেছে ৭৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তার আগে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রমের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে একই কার্যক্রমের জন্য ডিএসসিসির বাজেট ছিল ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এছাড়াও মশা নিয়ন্ত্রণের দুই সিটি কর্পোরেশনই পুরাতন ওষুধ বদলে নতুন ওষুধ কিনেছে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে ড্রন চালু করেছে। তাতেও কোন কাজে আসছে না। উপরন্তু দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে এদিকে মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে একদিকে নাজেহাল নগরবাসী অন্যদিকে দিশেহারা দুই মেয়র।
-এটি