আওয়ার ইসলাম: গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। প্রথম দিকে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তেমন তৎপরতা না দেখানোয় বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ দিন দিন বাড়তে থাকে। তবে বিক্ষোভের পরিসর বাড়তে থাকায় কঠোর হয় নিরাপত্তা বাহিনীও।
দেশটিতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদ বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল রোববার। এদিন প্রতিবাদী মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে পুলিশ। আর এই গুলি চালানোয় উৎসাহ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে বেশ কিছু মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার জুড়ে চলমান বিক্ষোভে এদিন ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।
এদিন পুলিশ সবচেয়ে বেশি মারমুখী ছিল দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তবে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং গুলি বিক্ষুব্ধ জনতার ঐক্যকে ভাঙতে ব্যর্থ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশকে উৎসাহ দিতে দেখা গেছে সেনাদের। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মং বো টুইট পোস্টে বলেছেন, ‘বার্মার (মিয়ানমারের সাবেক নাম) অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো’।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরের আলো ফোটার আগেই রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ক্ষমতাসীন দল এনএলডির নেত্রী এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে এখনো আটকে রাখা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনা সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
-এটি