আওয়ার ইসলাম: বীমা খাতকে জনপ্রিয়, এর প্রসার এবং সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
সামনাসামনি গিয়ে সম্মাননা দিতে পারলে ভালো লাগতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা আমাকে একরকম বন্দি করে দিয়েছে। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছি। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার পরও হাত ধোয়া, মাস্ক পরাসহ নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, প্রসার এবং সচেতনতা বাড়ালে বীমা খাতে স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা আসবে। তেমনি কাজেও গতি বাড়বে। জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ও ইনসুরেন্স ইনস্টিটিউটকে অটোমেশনের আওতায় আনতে সরকার ৬৩২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।
এ সময় বীমা খাতে দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অনেকে কৃত্রিমভাবে নিজের প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের ক্ষতি করে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ চায়। এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে। যারা তদন্ত করবে তাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ হতে হবে। যেন কোনোভাবে প্রভাবিত না হয়ে তদন্ত করতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা খাতে কাজ করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমা নিয়ে মানুষকে সচেতন করেছিলেন। এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রসার ঘটিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও সরকারে এসে বীমা খাতে নানা সংস্কারমূলক কাজ করছি। ২০০৯ সালেই এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করি।
স্বাস্থ্যবীমা সম্পর্কে সবাইকে আরো সচেতন হওয়া, এর প্রসার বাড়ানো এবং মানুষের কাছে আস্থাশীল করতে হবে। চালু হওয়া বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমায় বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে একটা পলিসি করা যাবে। নতুন বিবাহিত দম্পত্তি বীমা করলে সন্তান শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত আর কোনো সমস্যায় পড়বে না। বার্ষিক ২৮৫ টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়ও নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারবে। প্রবাসীদের জন্যও বীমার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে যারা এ সুযোগ নেবেন তাদের অবশ্যই দেশে ফেরত আসতে হবে। এ দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
-এটি