আওয়ার ইসলাম: মশা মারতে কামান হাঁকানোর কথা প্রবাদ বাক্যে শুনেছেন অনেকেই। কিন্তু ড্রোন ব্যবহারের কথা হয়তো শুনেননি কেউ। এবার সেটাই ভাবছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এরই মধ্যে চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। রাজধানীর যেসব জলাশয়ে সনাতন পদ্ধতিতে ওষুধ ছেটানো সম্ভব হচ্ছে না সেসব জায়গায় কীটনাশক দিতেই এই আয়োজন। দেশে তৈরি এই ড্রোনের সাহায্যে প্রতি দুই মিনিটে ১০ লিটার লার্ভিসাইড ছেটাতে সক্ষম।
আর গত কয়েক সপ্তাহে নগরজুড়ে মশার যে উৎপাত তাতে মশাকে বশে আনতে এমন বড় আয়োজনের বিকল্প নেই। তাই হয়তো রাজধানীর বনানী লেকে চলছে মশক নিধনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম।
নগরজুড়ে যখন কিউলেক্সের রাজত্ব তখন এই মশার উৎপত্তিস্থল বিশেষ করে লেক কিংবা খাল। চাইলেই যেখানে সনাতনী পদ্ধতিতে ওষুধ ছেটানো যায় না সেসব জলাশয় অর্থাৎ খাল কিংবা লেকে লার্ভিসাইড ছেটাতেই এই উদ্যোগ ডিএসসিসির। দেশেই তৈরি ড্রোনের মাধ্যমে এই উদ্যোগ সফল হলে, বাঁচবে শ্রম বাঁচবে সময়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, যে জায়গায় মানুষ পৌঁছাতে পারছে না সে ড্রোনের মাধ্যমে যাতে আমরা মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারি। মোট কথা আমরা অল্প সময়ে যাতে অনেক জায়গা স্প্রে করতে পারি এটাই হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
এমডব্লিউ/