বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


চতুর্থ স্ত্রীর করা মামলায় কারাগারে হাসানুর রহমান নক্সেবন্দী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব
সাব-এডিটর

আলোচিত ওয়ায়েজ কথিত সুন্নি আলেম হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দীকে চতুর্থ স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারের পর আদালতের পাঠানো হলে সিএমএম-১৮ আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ দিন দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। কমলাপুরের একটি মসজিদ থেকে বের হয়ে সিলেটে মাহফিলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় এস আই হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় নক্সেবন্দীর সঙ্গে তার পঞ্চম স্ত্রীও ছিল।

বিষয়টি মতিঝিল থানার এস আই ও ওয়ারেন্ট অফিসার হেলাল আহমেদ আওয়ার ইসলামকে এক ফোনালাপে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের মতিঝিল থানার মামলা নং ০২/২১ এর ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

পরে বিকালে সিএমএম-১৮ এর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দীর চতুর্থ স্ত্রী শিরিন আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার ইরফান বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মামলার বাদীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দী। বিভিন্ন সময় বাদী শিরিন আক্তার তার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিলেও প্রতিনিয়ত আরও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। শারীরিক নির্যাতনের কারণে গত বছরের জুন মাসে শিরিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন। পরে নারী নির্যাতনের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেসময় পুলিশের সহায়তায় অঙ্গীকারনামা দিয়ে নির্যাতনের সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পান হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দী। কিন্তু তারপরও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বাদীর ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।’

আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার ইরফান আরও বলেন, ‘স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-৩ এ একটি মামলা দায়ের করেন শিরিন আক্তার। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।’

এই আইনজীবী জানান, হাসানুর রহমান হুসাইন নক্সেবন্দীর বিরুদ্ধে তার আরও দুই স্ত্রীর করা দুটি মামলা চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা আদালতে চলমান রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার বাদী হাসানুর রহমানের চতুর্থ স্ত্রীর এক আত্মীয় আওয়ার ইসলামকে জানান, আমাদের আইনজীবি এ্যাড. খন্দকার ইরফান জানিয়েছেন, তিনি মামলাটি দায়ের করলে আদালত তাকে গ্রেফতারের নোটিশ পাঠায়। এরপরই আজ গ্রেফতার করা হলো তাকে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ