আওয়ার ইসলাম: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন হুগলীর ফুরফুরা দরবার শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।
ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) নামের তার এই দলের হয়ে সভা করতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন তিনি। তার দাবি, মুসলিম হওয়ার কারণেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস তার সভায় বাধা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতার নিউটাউনের বালিগড়িতে একটি সভা করার কথা ছিল পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর। সেই সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে আব্বাসের অনুসারীরা নিউটাউন-ভাঙড় সংযোগকারী হাতিশালা ৬ নম্বর লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিউটাউন।
সভায় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সমালোচনা করে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হয়ে লড়ছি। আর আমি একজন মুসলিম, এই কারণে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই তৃণমূল সরকার চিটিংবাজ, ধোঁকাবাজ সরকার, কাটমানির সরকার, এরা সন্ত্রাসবাদী।’
গোর্খা নেতা বিমল গুরুংয়ের সমালোচনা করে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘বিমল গুরুং একটা খুনি। সে পুলিশকে খুন করেছে। তাকে সঙ্গে নিয়েছে। দশ-বারোটা আসন দিচ্ছে। আর আমাদের ৪৪টি আসন দিলো না, যেখানে আমরা ১৫০টি আসনে ক্ষমতায় আসতে পারি। এই তৃণমূল সরকার মুসলিম-আদিবাসীদের দুশমন।’
নিউটাউনের পর ভাঙড়ের ভোজেরহাটে জনসভা করেন আব্বাস সিদ্দিকী।সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা ভিক্ষা নয়, অধিকার চাই। খেলা নয়, সন্ত্রাস মুক্ত বাংলা চাই। তাই আইএসএফকে জেতাতে হবে।’
এদিকে, গতকাল রোববার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূলের বিধায়ক সওকাত মোল্লা এক সভায় পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সমালোচনা করে বলেন, ‘আব্বাসের কত ক্ষমতা ক্যানিং পূর্বে এসে ভোটে লড়ুক। ভিখারির মতো হাত পেতে এলাকা থেকে টাকা নেন, তিনি আবার বড় বড় কথা বলছেন।’
-এটি