কাজী আব্দুল্লাহ: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে দুটি বন্দুকযুদ্ধে তিনজন যোদ্ধা ও একজন পুলিশ নিহত হয়।
শুক্রবার ভারতের রাজধানীতে অবস্থানরত আফ্রিকা, ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকাসহ ২০টিরও বেশি কূটনীতিকদের দু’দিনের সফরের সমাপ্ত হওয়ার একদিন পরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর শহরের একটি থানার কাছে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা দুইজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। দুজনেই পরে হাসপাতালে মারা যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এই হামলার একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা গেছে, শীতের কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তি পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি ছুঁড়ে। তারপরে সে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ এবং সৈন্যরা অঞ্চলটি তল্লাশি করেছে এবং পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্যায়ভাবে এক যুবককে আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এক পৃথক ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ শোপিয়ান জেলার একটি গ্রামে কয়েক ডজন পুলিশ ও সৈন্য অভিযান শুরুর পরপরই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। কুমার জানান, শুক্রবার ভোরে গোলাগুলিতে তিনজন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন। পুলিশ দুটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
তবে বাসিন্দারা বলছেন, কাশ্মীরে ভারতীয় সেনারা নিয়মমাফিক কৌশল লড়াইয়ের সময় একটি বেসামরিক বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা উড়িয়ে দেয়। তারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরেক বন্দুকযুদ্ধে শুক্রবার ভোরে পশ্চিম বিয়ারওয়াহ এলাকায় যোদ্ধারা এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে এবং একজনকে আহত করে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীর অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে। অনেক মুসলিম কাশ্মীরি এই বিষয়কে সমর্থন করে যে, এই অঞ্চল পাকিস্তানের শাসনে বা একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করুক।
যদিও নয়াদিল্লি কাশ্মীরের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির পদক্ষেপকে পাকিস্তান স্পনসরিত ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসাবে বর্ণনা করে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করে আসছে এবং বেশিরভাগ কাশ্মীরি এটিকে বৈধ স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসাবে মনে করে। সূত্রঃ আল জাজিরা
এমডব্লিউ/