আওয়ার ইসলাম: ইউরোপীয় দেশগুলোতে বর্ণবিদ্বেষ ও ইসলামফোবিয়ার মাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা তদন্তে একটি উপকমিটি গঠন করবে তুরস্কের পার্লামেন্ট। দেশটির মানবাধিকার-বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান হাকান কাভুসোগলু এ তথ্য জানান।
কাভুসোগলু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্ণবিদ্বেষই ইউরোপে সাংস্কৃতিকভাবে ইসলামফোবিয়ায় রূপান্তরিত হচ্ছে। যে কারণে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ইসলাম ও মুসলিমদের ব্যাপারে ভয় ও ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে।
কাসুভোগলু বলেন, ‘দ্য কাউন্সিল অব ইউরোপ’, ‘দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ’ (ওএসসিই) এবং ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ কেউই ইসলামফোবিয়ার বিষয়ে পরিষ্কার কোনো অবস্থান নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো দুঃখজনকভাবে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে না, তারা এটিকে স্রেফ বিশৃঙ্খলার একটি ধরন হিসেবে দেখছে।
তিনি বলেন, উপকমিটি এ বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ব্যাপকভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে; আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। মানবাধিকার-বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি আইনপ্রণেতাদের নিয়োগ দেওয়ার পর উপকমিটি তাদের কাজ শুরু করবে।
ইসলামফোবিয়া ও বর্ণবিদ্বেষ প্রতিরোধে বিশ্বের সবার এক হওয়া উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামোফোবিয়া এবং বর্ণবিদ্বেষ বহুগুণ বেড়েছে।
এরদোগান বলেন, হলোকাস্ট, বসনিয়া, রুয়ান্ডা এবং কম্বোডিয়ার মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, মানবজাতি একটি কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছে এবং ‘বর্ণবাদ ভাইরাস’ মহামারির পাশাপাশি ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সম্প্রতি বলেছেন, ইউরোপে ইসলামফোবিয়ার ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করবে তুরস্ক।
ইসলামফোবিয়া, বর্ণবিদ্বেষ ও জেনোফোবিয়া পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষত ইউরোপে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-এটি