আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের জেনিনে শহরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। সে সাথে এ মুসলিম দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে এগিয়ে এসেছে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-ওসাইলি বলেন, এ জোনে তুর্কি সহায়তার পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জোনের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো তৈরিতে এ অর্থ ব্যবহৃত হবে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে রোববার আল-ওসাইলি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ জোনে তুরস্কের নিজস্ব কারখানাও পরিচালিত হবে।’
‘দ্য ইউনিয়ন অব চেম্বারস অ্যান্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জেস অব তার্কি’র (টব) সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘টব বিস অর্গানাইজড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি জোনস কোর’কে জেনিনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়ে শনিবার সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
ফিলিস্তিনের অর্থনীতিমন্ত্রী জানান, দুই ধাপে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের কাজ বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে অর্থায়ন করবে জার্মানি। জোনের সব বাহ্যিক অবকাঠামো নির্মাণে সেখানে ব্যয় হবে ২৯ মিলিয়ন ডলার। এ বছরের মাঝামাঝি এ ধাপের কাজ সম্পন্ন হতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপে অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোর কাজ হবে। এ কাজে ১০ মিলিয়ন ডলার দেবে তুরস্ক। শিগগিরই এ ধাপের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। রাজনৈতিক অবস্থান এবং ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে সহায়তার জন্য আল-ওসাইলি এরদোয়ান, তুরস্ক সরকার ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তুর্কি কারখানা হলে ফিলিস্তিনের রপ্তানি খাত শক্তিশালী হবে। এ প্রক্রিয়ায় সরাসরি প্রায় পাঁচ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করেন তিনি।
জেনিনে শিল্পজোন প্রতিষ্ঠার ধারণা ১৯৯৯ সালে নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে এ উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত গত বছর এ উদ্যোগ কার্যকরভাবে শুরু হয়। ১১ লাখ বর্গমিটারের পরিকল্পিত জোনটির অবস্থান সিটি সেন্টারের দুই মাইলের মধ্যে।
ওআই/আবদুল্লাহ তামিম