মোস্তফা ওয়াদুদ: বি-বাড়িয়ার শীর্ষ আলেম আল্লামা বেলায়েতুল্লাহ নূর রহমাতুল্লাহি আলাইহি মারা গেছেন গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি। উস্তাদের জানাজায় অংশ নিতে রওয়ানা হয়েছিলেন জোনায়েদ মাহমুদ নামে তারই একজন ছাত্র। জানাজা পড়েছিলেন। দাফন করেছিলেন প্রিয় উস্তাদের। কিন্তু জানাজা শেষে ফেরার পথে ঘটলো বিপত্তি। রোড এক্সিডেন্টে মারা যান জুনায়েদ মাহমুদ।
গতকাল শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বি’বাড়িয়ায় আল্লামা বেলায়েতুল্লাহ নূর রহমাতুল্লাহ আলাইহির জানাজা শেষে ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জুনায়েদ মাহমুদ। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জুনায়েদ মাহমুদের বিদায়ে মর্মাহত তার সাথীরা। বিদায়ের শোক জানিয়ে অনেকেই তাকে ট্যাগ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মাহদী হাসানাত খান নামের একজন লিখেছেন, লিখতে গিয়ে আঙুল স্তব্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতা যেন এবারই প্রথম। অশ্রুগুলো কেমন যেন অবাধ্য হয়ে গেছে। থামছে না, থামতেই চাচ্ছে না। কপোল গড়িয়ে পড়েই যাচ্ছে সেই রাত থেকে।
নাঈম আহসান নামের একজন লিখেছেন, ‘কান্না পাচ্ছে খুব! এভাবে চলে যাবেন ভাবতেও পারিনি। হে আল্লাহ! ভাইটির সাথে উত্তম আচরণ করুন।’ রিয়াজ বিন জায়েদ নামের একজন হৃদয়ের গভীর থেকে উচ্চারণ করেছেন, ‘আহ।’
জুনায়েদ মাহমুদের ফেসবুকের সর্বশেষ স্টাটাস ছিল, উস্তাদ হারানো ব্যাথার স্ট্যাটাস। তিনি সেখানে লেখেন, ‘প্রিয় উস্তাদদের হারানো সংবাদগুলো কতটা কষ্টের বলে বুঝানো যায় না। প্রিয় শায়েখ বেলায়েতুল্লাহ নূর রহ. আর নেই। তিনি ছিলে মুফতিয়ে আজম আল্লামা নূরুল্লাহ রহ. এর চতুর্থ সন্তান। সাকাল্লাহু সারাহু, ওয়াজা আলাল জান্নাতা মাসওয়াহু।’
জানা গেছে, রোড এক্সিডেন্টে মারা যাওয়া জুনায়েদ মাহমুদের বয়স মাত্র ২৫ বছর বয়স। আট মাসের একটা ফুটফুটে মেয়ের বাবা। একটি মাদরাসার কিতাব বিভাগের নাজেমে তালিমাত বা শিক্ষা সচিব ছিলেন।
এমডব্লিউ/