আওয়ার ইসলাম: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে বিশটি জুতার বাড়ি দিয়েই এক গ্রাম্যসালিশে বিচার শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইউপি সদস্য, মাতুব্বর ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুদু মিয়া খাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের চরলাউখোলা বালিয়াকান্দি গ্রামের
ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সরদার (৩৮), মাতুব্বর মোকসেদ মাদবর (৫০) ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী নয়ন মোড়ল (২৪)। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ওই গৃহবধূ জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুদু মিয়া ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় নয়ন মোড়ল।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) স্থানীয় মোকশেদ মাদবরের বাড়িতে ভুক্তভোগী পরিবারের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় দরবার-সালিশের আয়োজন করে ওই এলাকার মাতুব্বররা।
দরবারে উপস্থিত সালিশ-মাতব্বররা তাদের সে ভিডিও মোবাইল থেকে ডিলিট করে এবং জুরিবোর্ডের মাধ্যমে ৫০টি জুতোপেটা রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ৩০টি মাপ করে দিয়ে, ২০টি জুতোপেটা করা হয় দুদু মিয়াকে। ইউপি সদস্য জসিম সরদার, মোকসেদ মাতবরসহ স্থানীয় কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেল ৪টার দিকে গৃহবধূ বাদী হয়ে দুদু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি জসিম সরদার, মোকসেদ মাতবর ও নয়ন মোড়লকে গ্রেপ্তার করে জাজিরা থানা-পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমান, জাজিরা থানার তদন্ত ওসি মিন্টু মন্ডলসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণে অভিযুক্ত দুদু মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-এটি