আবু তালহা তোফায়েল
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি>
সিলেটে আলেমদের মধ্যে প্রথম ভ্যাক্সিন নিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় সিলেটে প্রথম আলেম হিসেবে মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন গ্রহণ করেন তিনি। তিনি একাদারে গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় ইমাম সমিতি গোয়াইনঘাট-এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দারুস সালাম দারুল হাদিস লাফনাউট মাদরাসার আসসালাম ফুজালা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেটে কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন বা টিকাদান শুরু হয়।
টিকা নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো টিকা পৌঁছেনি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর ১১ মাসের মাথায় টিকা এল। এটি আমাদের জন্য গর্বের। আমি টিকা নিয়েছি, কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। তাই কোনো অপপ্রচারে কান দেওয়া যাবে না। টিকা নেওয়াটাই হচ্ছে একজন সচেতন ব্যক্তির কর্তব্য।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২টি কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হয়েছে। এর বাইরে নগরের পুলিশ লাইনসেও আরেকটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় ২টি করে মোট ২০টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এর বাইরে জালালাবাদ সিএমএইচে আরও ৩টি কেন্দ্র রয়েছে। সিলেট সদর উপজেলার টিকা গ্রহণকারীরা নগরের বাসিন্দাদের সঙ্গে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে টিকা নিচ্ছেন। নগর ও জেলায় মোট ৩৬টি কেন্দ্রে টিকাদান চলছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ওসমানী হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনসে টিকাদান কর্মসূচি সমন্বয় করছে সিটি করপোরেশন। অন্য কেন্দ্রগুলোয় সিভিল সার্জন কার্যালয় সমন্বয় করছে। নগরের ১৩টি কেন্দ্রে আজ ৭৭০ থেকে ৮০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে বেলা একটা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে প্রায় ৩৫০ জন টিকা নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার থেকে গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
-এটি