আওয়ার ইসলাম: গায়ে থাকা কালো ওড়না ও গলায় হলুদ গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় গত রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গৃহবধূ ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা পুলিশ।
এদিন সকালে তাদের মরদেহ সাতক্ষীরা পৌর সদরের শ্রীপতিপুর শেখ আব্দুল হাইয়ের বাড়িসংলগ্ন আমগাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার ছোট দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন নিহত ফাতেমার স্বামী বাক প্রতিবন্ধী শেখ আহসান ও স্বামীর আপন ছোট ভাই শেখ আসাদ।
আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলারোয়ার উপজেলার শ্রীপতিপুর নিহতের বাড়ি সংলগ্ন পাঁচিলের পাশে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রড ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী ও দেবর জানায়, নিহত ফাতেমার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পাড়ের ছেলে নিহত করিম পাড়ের। গত পরশু দিনগত রাতে নিহত ফাতেমার শ্বশুরবাড়ি কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামে পরিত্যক্ত এক কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় দুজনকে দেখে ফেলেন তার স্বামী। বাক প্রতিবন্ধী স্বামী উত্তেজিত হয়ে তার ছোট ভাই আসাদের সহযোগিতায় প্রথমে দুজনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরে নিহত ফাতেমার গায়ে ব্যবহৃত কালো রঙের ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় বেঁধে দুজনকে এক আম গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
এ ঘটনায় নিহত করিম পাড়ের পিতা জয়নাল পাড় কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার ভিতরে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান ২ আসামিকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড ও অন্যান্য মালামাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন।
-এটি