আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, আলেমরা যতক্ষন পর্যন্ত নিরাপদ আছি, ততক্ষণ পর্যন্ত শক্তমনে ইসলামের পক্ষে কথা বলে যেতে হবে। আর যদি আলেমরা ইসলামের পক্ষে কথা না বলেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা নারাজ হবেন।
তিনি বলেন, কারো মুখের দিকে থাকিয়ে নয়, কোরআনের অর্পিত দায়িত্ব মনে করে কথা বলে যেতে হবে সব সময়। আমি যেনো সব সময় ইসলামের পক্ষে, দ্বীনের পক্ষে, আল্লাহ এবং রাসুলের পক্ষে কথা বলে যেতে পারি। এ সময় তিনি দোয়া চেয়ে বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি ইসলামের প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত আছি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর উপজেলার ১৪৩ বছরের পুরাতন দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্টান জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম হেমু মাদরাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আলেমদের উদ্দেশে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলাম বিরোধীরা এদেশে ঠাই পাবেনা। আলেমরা তিন প্রকৃতির হয়ে গেছেন, কিছু আলেম সাহস নিয়ে ইসলামের কথা বলে নির্যাতিত আর জুলুমের শিকার হয় তারা হলেন দিনদার, কিছু আলেম সুবিধাবাদী ইসলাম ও শয়তানের পক্ষে কথা বলে, তারা হল মুনাফিক। আর কিছু আলেম আছে শুধু শয়তানের পক্ষে চাটুকারিতা করে, তারাও মুনাফিক।
তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলে এক আলেম আরেক আলেমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমরাই আজ কোরআনের মাহফিল বন্ধ করে দিচ্ছি।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, আজকাল আলেমরা আলেমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে বলেই ইসলামের শত্রুরা কথা বলার সাহস পেয়েছে। বর্তমানে মুসলিম জনপদে হারাম পন্য বিক্রি হয়, আলেমরা জাতিকে সে ব্যাপারে সতর্ক না করে তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়, নবীর উত্তরাধিকারী বলে চিল্লায় আর বড় বড় উপাদি বলে পরিচয় দেন।
কিছু আলেমরা মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কথা বলেনা, হালাল আর হারাম নিয়ে কথা বলার সাহস পায়না, সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলেনা কারণ আলেমের চাকুরী থাকবেনা। বুঝতে হবে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাঠগড়ায় আলেমদের দাড়াতে হবে। আলেমরা দুনিয়ার কোন রাজা-বাদশাহর আদেশে কাজ করলে হবে না, আলেমরা আল্লাহর দেয়া নির্দেশনায় কাজ করতে হবে। আলেম সমাজকে এখনি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না হলে আগামীতে ইসলামের অনেক বড় বিপর্যয় দেখা দিবে।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হরিপুর বাজার মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা ইউসুফ আহমদ। আরোও বয়ান পেশ করেন, শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা রফিকুল হক (তুবাংগী হুজুর), শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা আহমদ আলী (চিল্লা), হজরত মাওলানা মুফতি মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, হজরত মাওলানা মুফতি আমানুল হক, মাদরাসা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, হজরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হজরত মাওলানা ওলিউর রহমান, হরিপুর বাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হেলাল আহমদ, দারুল উলুম হেমু মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
এমডব্লিউ/