আবদুল্লাহ তামিম।।
রাজধানী ঢাকার হােটেল রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফকিরাপুলে কওমি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা সমস্যা ও সম্ভাবনা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে মাননীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আমি দেশে কওমি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিবো। কওমি মাদরাসা চাইলে ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে সব জামাতের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।
আজ (২৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা দারুর রাশাদের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ সালমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, মাননীয় সংসদ সদস্য, গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। প্রধান আলােচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসানুল্লাহ, উপাচার্য, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি। জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবাের্ডে মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী। মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শায়খ আহমাদ উল্লাহ।
মুসলিম ইয়ুথ সার্কেলের আয়োজনে কওমী শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা সমস্যা ও উত্তরণ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এম.পি. বলেন, ইলম অর্জনের জন্য দূরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বপ্রথম নিয়ত ঠিক করতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম ‘বাল্লিগু আন্নি ওয়া লাও আয়াহ’ এর উপর ভিত্তি করে তারা পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দাওয়াত ও ইলম অর্জনের জন্য আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে না পড়লে আজ আমরা রাসুল সা. থেকে পাওয়া ইলম পেতাম না। এরপর তাবে তাবিইনও ইলম এর জন্য অনেক দূর দূরান্ত ভ্রমণ করেছেন। সাল্পে সালেহীনও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে ইলমের জন্য সফর করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
কওমি মাদরাসা চাইলে ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে সব সরকারী হয়ে যাবে। মুআদালা করতে এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। সেটা হওয়া পর্যন্ত আপনারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করেন আপনারা। আমি আপনাদের জন্য কওমি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিবো। দেশেও পড়াশোনা করতে পারেন বিদেশেও যেতে পারেন। আপনারা বিদেশে যাওয়ার জন্য যেটা করার দরকার আমি করে দিবো। যত ধরণের সহযেোগিতা দরকার সব ধরণের সহযোগিতা আমরা করবো। আমাদের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর চেয়েছেন যেনো কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি পায়। তিনি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস কে মাস্টার্সের মান দিয়েছেন। আপনারা চাইলে দেশেই উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন। সরকার আপনাদের জন্য সব ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ ওয়ালিয়ুর রহমান খান, ড. মােহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ, ড. আবদুল কাইয়ুম আজহারী, শহীদুল ইসলাম ড. রুহুল আমিন রব্বানী, মাওলানা আবু নােমান আল-মাদানী, মাওলানা শােয়াইব আহমদ, শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী, আবু সালেহ রাহমানী, অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, মুফতী সালমান আহমদ।
-এটি