বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

বালাগঞ্জের বড়ভাঙ্গা নদীর ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নির্মাণ বন্ধ; দূর্ভোগ চরমে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবুল কাশেম অফিক
বালাগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি>

সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সর্বশেষ প্রান্তে বড়ভাঙ্গা নদীর অবস্থান। এই বড়ভাঙ্গাতে কোনো সেতু না থাকায় সরাসরি যাতায়াত বিচ্ছিন্ন বালাগঞ্জের ৩টি ইউনিয়নের জনসাধারণ। সেতু না থাকার কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অত্রাঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন স্থরের জনসাধারণের।

এমনকি জরুরী সেবা প্রদানের জন্য বালাগঞ্জ থানা পুলিশও উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ও দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দপ্তরে যাতায়াতেও দেখা দিয়েছে চরম দূর্ভোগ।

এ দুটি ইউনিয়নে বড়ভাঙ্গা নদীপথে যেতে নৌকা এবং গাড়ি নিয়ে যেতে হলে পার্শ্ববর্তী ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়ন হয়ে দেওয়ানবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন হয়ে পশ্চিম গৌরীপুরে পৌঁছাতে হয়। এতে যেমন ব্যয় হয় সময়ের, তেমনি ব্যয় হয় অর্থের। এই বড়ভাঙ্গা নদীই দুইভাগে বিভক্ত করে রেখেছে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নকে।

২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করে ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বাজেট নিয়ে বালাগঞ্জ-সুলতানপুর-সিলেট সড়কের বড়ভাঙ্গা নদীর উপর ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া ও সিলেট- ৩ আসনের বর্তমান এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে আটকে যায় সেতুটির নির্মাণ কাজ।

দীর্ঘদিন যাবত সেতুটির কাজ বন্ধ থাকা ও দূর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছে যাওয়ায় বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ ও ৩ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থরের জনসাধারণ গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় আয়না মার্কেট এক সভা করে। সভায় ‘শেখ হাসিনা সেতু’ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি, উপজেলা সদরে সকল পর্যায়ের লোকজনের উপস্থিতিতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এস আর এম জি কিবরিয়া বলেন, সেতুটির রি-ডিজাইন করতে হবে। আগের ডিজাইন সেতুটি নির্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। আগের সম্পূর্ণ কাজ বাতিল করে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে আরও বাজেটের প্রয়োজন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ