বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

ঢাকায় ইউটার্ন চালুর পরও কমেনি যানজট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তেজগাঁও বিজি প্রেসের সামনে, নাবিস্কো মোড় এবং বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় তিনটি ইউটার্ন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ইউটার্ন চালু হওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও কমেনি এই রোডের যানজট। আগের চেয়ে যানজট বেড়েছে, যাতায়াতের সময়ও বেড়েছে বলে অভিযোগ যাত্রী ও চালকদের।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় খুলে দেওয়া ইউটার্ন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মগেট থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে এই ইউটার্ন পার হতে ছোট বড় যানবাহনগুলোর যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বেশ কিছুক্ষণ। এছাড়াও তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দরমুখী গাড়িগুলোও মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সিগন্যালের জন্য। একইভাবে উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর হয়ে আসা গাড়িগুলোর অবস্থাও একই।

সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি যানজটে পড়তে হয় সকালে অফিস যাওযায় সময় এবং বিকেলে। এখনতো বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ তাতেই এই অবস্থা, সব স্কুল খুলে দিলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

টঙ্গী থেকে গুলিস্তানের দিকে চলাচলকারী স্কাই লাইন পরিবহনের গাড়ি চালক হুমায়ুন আলী বলেন, ইউটার্নের ফলে সড়ক আগের চেয়ে সরু হয়ে এসেছে। ফলে গাড়িও চলছে ধীরগতিতে। আবার ক্রসিংগুলোও খোলা রয়েছে। আগের মতোই সিগন্যালের জ্যামে পড়তে হচ্ছে। ফলে আমাদের ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে। তাছাড়া গাড়িগুলো বেশিক্ষণ জ্যামে আটকে থাকার ফলে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যাচ্ছে। এতে লসে পড়তে হচ্ছে তাদের।

উল্লেখ্য, ডিএনসিসির ১১টি ইউটার্ন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ৬টি চালু করা হয়েছে। এর আগে কাওলা, উত্তরা র‌্যাব-১ কার্যালয়ের সামনে এবং উত্তরা জসিম উদ্দিন মোড়ের ইউটার্ন খুলে দেওয়া হয়। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরে সংশোধনে তা বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ