মুহাম্মাদ.আল-আমিন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ধর্মীয় আলোচনায় বাধা, ওয়াজ মাহফিল বন্ধ ও মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর আয়োজনে হাজার হাজার তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২২জানুয়ারি) শুক্রবার বাদ জুমা ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ চত্বরে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর মজলিসে শূরার সভাপতি আল্লামা আব্দুর রহমান হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে অংশগ্রহণ করেন ময়মনসিংহ শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত হাজার হাজার তৌহিদী জনতা।
মুফতি শরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সভাপতি আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সা'দী, বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আল্লামা আব্দুল হক, ইত্তেফাকুল উলামা কেন্দ্রীয় ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক, আল্লামা আনোয়ারুল হক, মুফতি আহমদ আলী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি মাহবুবুল্লাহ্, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা আবু হানিফা নোমান, মাওলানা মুহাম্মদ, মাওলানা নুরুল আবসার মাসুম, মুফতি আমীর ইবনে আহমাদ, শাহ মোশাররফ, মুফতি গোলাম মাওলা ভূঁইয়া, মাওলানা রশিদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি আকরাম হোসাইন ও মাওলানা চৌধুরী নাসির আহমাদ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওয়াজ মাহফিলগুলো দ্বীনের প্রচার-প্রসার ও জনমানুষের ধর্মীয় জ্ঞানের চাহিদা পূরণসহ সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও সুনাগরিক গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে থাকে। এই মাহফিলগুলোতে ধর্মীয় জ্ঞানে প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী স্কলারগণ কুরআন হাদিসের আলোকে জাতীকে ধর্মীয় নির্দেশনার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রদান করে থাকেন। যা তাদের অপরিহার্য দায়িত্ব। কিন্তু সম্প্রতি দেশের প্রখ্যাত শীর্ষ আলেমদের তাদের দীনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, গত ১৯জানুয়ারি মঙ্গলবার ময়মনসিংহের বড় মসজিদে সাদপন্থীদের কতিপয় দুষ্কৃতিকারী জামিয়া ফয়জুর রহমানের ১৩, ১৪জন নিরীহ ছাত্রকে বিনা কারণে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে। সাদপন্থীরা বহিরাগতদের সহযোগিতায় এই হামলা চালিয়েছিলো। আমরা এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশের শেষ মুহুর্তে ইত্তেফাকুল উলামার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সমাবেশের ৫ দফা ঘোষণাপত্র পড়ে শুনান।
এমডব্লিউ/