রফিকুল ইসলাম জসিম।।
ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি সাধক হযরত শাহ জালাল রহ. এর সফরসঙ্গী ৩৬০ জনের মধ্যে একজন আউলিয়ার নামে হযরত জালাল শাহ রহ. হাফিজিয়া মাদরাসা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আদমপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে নির্মান করা হয়েছে ।
হয়রত শাহ জালাল রহ সিলেটে তার মাধ্যমেই সর্বপ্রথম ইসলামের বহুল প্রচার ঘটেও পরে তার সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশরা সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন। শাহজালালের সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার একজন কমলগঞ্জের জালালপুর গ্রামে আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তার মৃত্যুর পর ধারণা করা হয় তাকে জালালপুরে কবর দেয়া হয়। সেখান থেকে ওই জায়গায় হয়রত জালাল শাহ রহ নামে মাজার গড়ে ওঠে।
হযরত জালাল শাহ রহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন বলেছেন, কুরআন হচ্ছে বিশ্বমানবতার একমাত্র হেদায়েত গ্রন্থ। জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কুরআন শিক্ষার ব্যাপক প্রচার জন্য হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেন জালাল শাহ রা মাজারের অনুদান দিয়ে ২৫ শতাংশ জায়গায় উপর প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বর্তমানে ৪ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে।
হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বর্তমানে নাজেরা বিভাগের আবাসিক এবং অনাবাসিক ৭৫ জন ছাত্র রয়েছে। মাদ্রাসাটি দক্ষ তিন জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ওই মাদ্রাসার দাতা সদস্য ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মামুন মিয়া জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে শামসুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ) এর সুযোগ্য ছাহেব জাদা আল্লামা কমর উদ্দিন চৌধুরী হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি উদ্বোধন করেন।
জালাল শাহ মাজারের পরিচালনায় চমৎকার একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এলাকার জনসাধারণ অত্যান্ত উল্লাশিত। তিনি আরো বলেন, হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি সম্পূর্ণ ৩ তলা নির্মাণ কাজ অনেক বাকী রয়েছে । তাই তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতায় হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি খেদমত করার আহ্বান জানান।
-এটি