আওয়ার ইসলাম: এবার নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে সন্তানদের সামনে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ভাইরাল করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি নির্যাতিতা নারী আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছে।
আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় ওই নারী ও তার ছেলে মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতেই তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২নং আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
পরে আদালত হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গতকাল শনিবার তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যান। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় একদল যুবক। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ওআই/সাইফুল ইসলাম ফরিদপুরী