আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছেন তারা।
এ সময় পিবিআই সদস্যদের সাথে ছিলেন পুলিশ, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মিরা। পিবিআই সদস্যরা তাদের মতো করে তদন্ত করেছেন। কিছু জায়গা পরিদর্শন করেছেন। আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরীর সাথেও কথা বলেছেন। হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র অভ্যুত্থানসহ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর মৃত্যু বিষয়ে জামিয়ার শিক্ষকমণ্ডলীসহ নানাজনের মতামত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামুনুল হক ছাড়াও মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, জাফর আহমদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, মাহমুদ, আসাদউল্লাহ, জোবায়ের মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহ, আহমদ কামাল, নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাসেমী, মোহাম্মদ হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবায়ের, মোহাম্মদ, আমিনুল হক, রফিক সোহেল, মোবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ ও হাসান জামিল। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পিবিআই মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই কর্মকর্তারা আজ সকালে পৌঁছেছেন হাটহাজারী মাদরাসায়। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পিবিআইয়ের একটি দল দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় প্রবেশ করে। এ মুহূর্তে মাদরাসায় পিবিআই তদন্ত কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, হেফাজতের সাবকে আমির আল্লামা শফি রহ. মারা যাওয়ার তিন মাস পর মামলাটি দায়ের করা হয়। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।
এমডব্লিউ/