বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে নেমেছি: চসিক প্রশাসক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীর পানি চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পানি প্রবাহ পথ খালগুলো ভরাট করে স্থাপনা ও বাসা-বাড়ি নির্মাণকারী অবৈধ দখলদাররা গণশত্রু। এরা চট্টগ্রামকে একটি মানবিক নগর রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণের প্রধান প্রতিবন্ধক। এদের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ ও আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশেই আমরা বিলুপ্ত খালুগলো উদ্ধারে মাঠে নেমেছি।

শুক্রবার সকালে নিমতলা ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডস্থ মহেশখালের শাখা সংযোগ দিয়ার পাড়া এলাকায় খাল পরিস্কার করতে গিয়ে খালের বেহাল ও দৃশ্যমান বিলুপ্ত প্রায় চিত্র দেখে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহেশখালের এই শাখা খালটি একটি সময় বেশ বড় আকারের ছিল। এই খালের বুকে নৌযান চলাচল হতো, পণ্য ও যাত্রী পরিবহন হত। এ খাল দিয়ে কর্ণফুলীতে পানি চলাচল করতো। নগরীতে এ ধরনের দুই ডজনেরও বেশি প্রশস্থ ও গভীর শাখা খাল ছিলো। এখন সবগুলোই বিলুপ্ত ও বেদখল হয়ে গেছে। এ কারণেই জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না।

‘বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের ৪০ শতাংশ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে খালসহ পানি চলাচলের পথগুলো পরিস্কার ও বাধামুক্ত করার অংশ হিসেবে দিয়ার পাড়া এলাকায় আজকের এই অভিযান।’

তিনি আরও বলেন, আমি এই খালটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। এই খালটিকে যারা ডাস্টবিনে পরিণত করেছে, খালের দু’পাড় দখল করে যারা এটাকে নালায় পরিণত করেছে তাদেরকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়া হলো। এর মধ্যে আবর্জনা পরিস্কার ও খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে পরদিন থেকে সরাসরি এ্যাকশন শুরু হবে। এই সময় খাল পরিস্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যে খরচ হবে তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায়, জরিমানা, মালামাল জব্দসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ