আওয়ার ইসলাম: নীলফামারীর ডিমলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিন দিন কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঠাণ্ডায় তারা কাজে বের হতে পারছেন না।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহামুদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে রাতে ও সকালে তীব্র শীত অনুভূত হয়। শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো জেলা। অনবরত ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল গড়িয়ে দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা ছিল কম।
এদিকে শীতের তীব্রতায় জেলার ডিমলা উপজেলার চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তিস্তাবেষ্টিত এসব এলাকার মানুষ চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তুলনামূলকভাবে ডিমলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম (৬০) বলেন, গত বছর পাতলা একটি কম্বল দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। এবার আশায় আছি, কেউ যদি একটি কম্বল দেয়। তাহলে এবার শীতটা কোনোমতে কাটাতে পারব।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৪ হাজার ৬০০ কম্বল ও শুকনো খাবার ১ হাজার পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে।
-এএ